২৭ সেপ্টেম্বরের পর সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বিষয়ে সিদ্ধান্ত

জেলা প্রতিনিধি
বিশ্ব পর্যটন দিবস ২৭ সেপ্টেম্বর। বিগত বছরগুলোর মতোই উদ্দীপনা নিয়ে কক্সবাজারে পালন হবে দিবসটি। এর মাধ্যমেই মূলত পর্যটন মৌসুমের আনুষ্ঠানিক শুরু। তাই দিবসের পরই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর)  ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারে (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রতিবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে কেন্দ্র করেই পর্যটন মৌসুমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। শরতের শেষ সময়ে আবহাওয়া শীতল হলে পর্যটকের উপস্থিতি বাড়ে। হেমন্তের শুরু থেকেই প্রশাসনের অনুমতিতে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়ে থাকে। তবে চলতি বছরের জন্য এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দিবসের পর জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সি-ক্রজ অপারেটর ওনারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের কক্সবাজারস্থ সমন্বয়ক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, টেকনাফ থেকে যেসব জাহাজ সেন্টমার্টিন যাতায়াত করে তা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অনুমতি সাপেক্ষে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে চালু হয়। এ রুটের জাহাজের বিষয়ে এখনো নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজির অনুমতি মেলেনি। কিন্তু কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের কর্ণফুলী ও বেওয়ান জাহাজের সারা বছর চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তবে, পর্যটক স্বল্পতার কারণে মার্চের পরই চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনের জেটি ভঙ্গুর থাকায় গত বছর জেলা প্রশাসন পরিদর্শন করে অনুমোদন দেয়। জেটি এখন সংস্কার হয়েছে। এবারও পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দিলে অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে পারে প্রশাসন। আমরা কাগজপত্র তৈরি করে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী বছরের ২১-২২ মার্চ রমজান শুরু। এতে ২০ মার্চ পর্যটন মৌসুম শেষ বলে ধরা যায়। তাই অক্টোবরের ১৫ তারিখের জন্য অপেক্ষা না করে পক্ষকাল আগে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিলে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জন্য উপকার হয়।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকেই সেন্টমার্টিনে যেন পর্যটক আনা-নেওয়া করা যায় তা নিশ্চিত করতে অনুমতির জন্য প্রচেষ্টা চলছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি, অনুমতি পেলেই শীতল আবহাওয়ায় আমরা যাত্রা শুরু করবো।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো কথা হয়নি, যোগাযোগও করেনি পর্যটন সংশ্লিষ্টরাও। কক্সবাজার দেশের পর্যটন রাজধানী। পর্যটকদের জন্য নেওয়া সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো গণমাধ্যমকে আগের মতোই জানানো হবে।

প্রতি বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে পরের বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। অনুমতি পেলে পর্যটকবাহী জাহাজ প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চলতি বছর ৩১ মার্চে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.