হ্নীলায় আপন জেঠাতে ভাইকে খুনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্যাটমিন্টন খেলাকে ইস্যু করে হ্নীলার লেচুয়াপ্রাং এলাকার সৈয়দ হোসেন প্রকাশ গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর নবীকে (২৭) খুন করেছে আপন চাচাতো ভাই নুরুল হোসেন এর ছেলে আবছার উদ্দিন ও তার সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা এমন অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার।
গত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আব্দুর নবীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে (২১ ডিসেম্বর) আনুমানিক ১০টার দিকে আব্দুর নবী ব্যাটমিন্টন খেলছিল।
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই এলাকার নুরুল হোসেন এর ছেলে আবছার উদ্দিন, পেটান আলীর ছেলে আব্দুল হক, আবুল হোসন এর ছেলে জালাল উদ্দীন, নুরুল হোসন এর স্ত্রী রহিমা খাতুন, আবুল হোসন এর স্ত্রী ছায়রা খাতুন, আবুল হোসেন এর ছেলে নাছির উদ্দীনসহ একটি সঙ্গবদ্ধ দল আব্দুর নবীর উপরর হামলা করে উপর্যুপরি ছুরি আঘাত করে। ঘটনাস্থলের আব্দুর নবীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে তাকে স্থানীয় আলীখালী আইএমও হাসপাতালে আনা হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত ডাক্তার আব্দুর নবীকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত আব্দুর নবীর বোনের জামাই হামিদ জানান, আমরা যখন খেলায় সোর গোল শুনতে পাই তখন দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলে মাটিতে পড়ে আছে।
সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে লেচুয়াপ্রাং এলাকায় মাদক বিরোধী কাজ করে আসছিল আর যারা আমার ছেলেকে মেরেছে তারা এলাকার ইয়াবা গডফাদার হিসাবে পরিচিত।
কিছদিন আগে ইয়াবা নিয়ে ধরা খেয়ে জেল হাজত খেটে এসেছে আবুল হোসন এর ছেলে জালাল উদ্দীন। তারা শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।
নিহতের ভাই হাসান আহমদ জানান, আমার ভাইকে তারা নৃশংসভাবে হত্য করেছে।
আমরা এর বিচার চাই।
নিহতেররআরেক ভাই আব্দুর রহমান জানান, যারা আমার ভাইকে মেরেছে তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরোদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
আমরা ভাই আব্দুর নবী এসবের প্রতিবাদ করতো বলে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
কিছুদিন আগে জালাল উদ্দীন ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এখন জামিনে এসে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
আবু ছিদ্দিক জানান, যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছ তারা সম্পর্কে আমাদের চাচাতো ভাই। বর্তমানে তারা মাদক ব্যবসা করে বহু অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে প্রভাব দেখিয়ে কিছুদিন যাবত আমাদের পৈত্রিক বাড়িভিটা দখলে নিতে মরিয়ে হয়ে উঠে। তাতে সুবিধা করতে না পেরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভাইকে হত্যা করে। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত আবছার উদ্দিন ও তার ভাইদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের কাউকে টেলিফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে জানতে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি সেন্টমার্টিন আছেন বলে জানান এবং থানায় যোগাযোগ করার জন আরেকটি নাম্বার দিলে তাতে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
তবে থানার ডিউটি কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মিল্টন মন্ডল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা এমন একটি সংবাদ পেয়েছি। কেউ যদি এসে অভিযোগ দায়ের করেন তবে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বর্তমানে নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.