মোঃ নেজাম উদ্দিন,
সকল অপরাজনীতি রুখে দিতে ছাত্রলীগ রাজপথে আছে থাকবে। হত্যার রাজনীতির আতুর ঘর বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে তাই নয়, করছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক আসামী তারেক রহমান বিদেশে বসে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চাই। বিএনপির দেশ বিরোধী এসকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস ও ২১’শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শোক র্যালী শেষে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ছাত্রলীগ স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন ভুমিকা রেখেছে। তেমনি বর্তমান বিভিন্ন অপরাজনীতির বিরোদ্ধে তারা সবসময় মাঠে কাজ করবে। আজকে মাঠে শুধু ছাত্রলীগ এসেছে যদি আরো অঙ্গ সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এমন শো দেখতে চান তবে অপেক্ষা করুন। নির্বাচনে আমাদের জয় ও জয়ের মিছিল বলে দিবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ মানুষের আস্থা কতটুকু রয়েছে।
র্যালীর পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে এদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে সে হত্যার রাজনীতির নেতৃত্ব দেন জিয়া পত্নী খালেদা এবং পুত্র তারেক রহমান। তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু তনয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। এদেশের মানুষের ভালবাসায় শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে আল্লাহ।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।
জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক র্যালীত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মঞ্জুর, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন, মুন্না চৌধুরী, নারিমা জাহান, বোরহান উদ্দিন খোকন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে বিকেল পাঁচটায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শোক র্যালীটি শুরু হয়ে কলাতলী হাঙ্গর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।
এরআগে দুপুর দুইটা থেকে জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে মিলিত হতে থাকেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.