শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। আপনার শিশুকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে চান তবে মায়ের দুধ খাওয়ান। মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়া দুধের অপকারিতা বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পুষ্টিসেবা লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এক কথা বলেন।

জাতীয় পুষ্টিসেবা লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। 

বধুবার (১১মে) রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ১০১৩ ও ২০১৭ এর বিধিমালা মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়া দুধের অপকারিতা বিষয়ে অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। অবহিতকরণ সভায় মূলবক্তব্য উপস্থাপন করেন, রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৃজন রায় তীর্থ।

প্রধান অতিথি বলেন,১৮০ দিন পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্যকিছু খাওয়াবেন না। একটি শিশু ২৪ ঘন্টায় ছয়বার প্রশ্রাব করলেই বুঝতে হবে, শিশুটি পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। শিশুকে ৭ মাস থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাওয়ার দিতে হবে। বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে। তাহলে তার মানসিক বিকাশ ঘটবে। দুই বছরের নীচে কোন অবস্থাতেই শিশুকে ফুলক্রীম দুধ খাওয়াবেন না।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রওশন জাবেন আক্তার আলো, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, জাতীয় পুষ্টিসেবা ডেপুটি ম্যানেজার ডা. নন্দলাল সূত্রধর, ডা. সুপ্তা চৌধুরী, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল হোসাইন প্রমুখ।

ইউএনও প্রণয় চাকমা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, রামু উপজেলায় সচেতন ভাবে মাতৃদুগ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ আছে কিনা সন্দেহ। এ উপজেলায় অধিকহারে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। সামাজিকভাবে সচেতন করা না গেলে, অল্প বয়সে বিয়ে ও অপরিণত বয়সে মায়ের মৃত্যু থামানো যাবেনা। আমরা সকলেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করবো। আমরা কোনভাবেই বাল্য বিবাহ সমর্থন করবো না।

বক্তব্য রাখেন, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম. এন. সি. এইচ. সুপারভাইজার ডা. খালিদ শামস্ চৌধুরী।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমন্ডার মুক্তিযোদ্ধা রনধীর বড়ুয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দিকী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র দে, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালাম, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম সেলিম সহ ইমাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.