অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক আবু সুফিয়ান বলেন, যদি দাম বেশি হয় সেখানে মানুষ যাবে না ।
মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে একটি খিচুড়ির দাম ৪২০ টাকা।এমন চড়াঁ মূল্যে খিচুড়ি বিক্রি করছে হিমছড়ি সড়কের কলাতলীর শালিক রেস্তোরা। এমন খাদ্য মূূল্যে পর্যটনখাতে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় সচেতন মহল ।
জানা যায়,গত কয়েক বছর আগে কলাতলী হিমছড়ি সড়কে মহেশখালী এলাকার নাছির নামের জনৈক ব্যক্তি শালিক রেস্তোরা গড়ে তুলে । শুরুতে খাবারে মান ও দামে ঠিক রাখার কারনে রেস্তোরায় গ্রাহক বাড়ে । পরবর্তীতে ব্যবসা বাড়তে থাকলে তার রেস্তোরা ডেকুরেশন করে আরেকটু উন্নত করলে খাবারের মান আগের মতো থাকলেও এখন দাম করা হয়েচে কয়েকগুন বেশি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকগণ জানিয়েছে শালিক রেস্তোরায় সব কিছুর দাম বেশি । যে খাবার অন্য রেস্তোরায় ১৫০ টাকায় মিলে ঠিক একই মানের রেস্তোরা হওয়ার পরে তা ৩গুন বেশি নিচ্ছে বলে জানান। ঢাকা থেকে আসা আরিফ জানান, আমি কিছুদিন আগে শালিক রেস্তোরায় খিচুড়ির অর্ড়ার করেছিলাম। তারা আমার কাছ থেকে প্রতিটি খিচুড়ির দাম রেখেছে ৪২০ টাকা করে। তারা যদি তারকামানের হতো তা হলে সেটি মানা যায় ।একই মানের পাশের রেস্তোরা যদি ১৫০ টাকায় বিফ খিচুড়ি বিক্রি করতে পারে তবে তারা কেন পারবে না?
কলাতলী এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেস্তোরা মালিক বলেন, শালিক কোন তারকামানের রেস্তোরা নয়। তারা তেমন খাবারের মান ঠিক রাখে না। আমরা যদি কমদামে বিফ খিচুড়ি বিক্রি করতে পারি তারা কেন পারবে না । তাদের কারণে কক্সবাজার পর্যটনখাত নষ্ট হচ্ছে।
এদিকে শালিক রেস্তোরার মালিক নাছির এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, খাবার ম্যানুতে ৪২০টাকা লেখা আছে। ম্যানুতে যা লেখা আছে তা নিচ্ছি।
কক্সবাজার রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ড়ালিম জানান, আপনার মাধ্রমে জানতে পারলাম বিষয়টি। সভাপতির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক আবু সুফিয়ান জানান, তারা খাবার ম্যানু অনুযায়ী দাম নিচ্ছে। যদি শালিকের খাবারের দাম বেশি হয় তাহলে পর্যটক অন্য রেস্তোরাঁয় যাবে। ওখানে খাওয়া না খাওয়া পর্যটকের ব্যাপার। মানুষ যেখানে কম পায় সেখানে যাবে। তিনি আরো বলেন, তাদের স্টাফ ও অন্যান্য মিলে খরচ বেশি তাই ম্যানুতে দাম রাখা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.