রোহিঙ্গা ইস্যুতে বনায়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করতে চায় বনখেকোরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের বনবিভাগের বনায়নের কাজে রোহিঙ্গা শ্রমিক কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলে বনায়নের কাজে বাঁধা গ্রস্থ  করছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন এলাকার বনভুমি দখলকারিরা। তারা চাইছে বনভুমিতে যেন বনায়ন না হয় এবং তাতে তাদের দখলে থাকবে জমিগুলো । যার ফলে স্থানীয় বনখেকোরা বনায়ন ঠেকাতে রোহিঙ্গারা কাজ করছে বলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও বনবিভাগ।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ সামাজিক বনায়ন ও সফল বনায়নের কাজে হাত দিলে বাকখালী রেঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় বনখেকোরা বনায়র ঠেকাতে এমন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১- ২০২২ সালের জন্য সামাজিক বনায়ন ও সুফল বনায়ন সহ সবুজ প্রকৃতি ফিরে আনতে বনবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে । সম্প্রতি কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু বনখেকো বনায়নের কারণে তাদের দখলকৃত জায়গা ছাড়তে হচ্ছে বলে তারা বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গা শ্রমিক ব্যবহার করছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বনায়নের কাজে কোন ধরনের রোহিঙ্গা কাজ করার সুযোগ নেই । কারণ যারা সেখানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করবে তাদের আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখা হয়।
বাকখালী রেঞ্জ এর গর্জনিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা আলম জানান, আমাদের এলাকায় বনায়নের কাজ চলমান রয়েছে । এখানে কোন ধরনের রোহিঙ্গারা কাজ করছে না। রেঞ্জ অফিস স্থানীয়দেরকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম জানান, আমার রেঞ্জে রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই । কাজ আমি নিজে তদারকি করছি। তাছাড়া রোহঙ্গা ক্যাম্প থেকে এতদূর পর্যন্ত রোহিঙ্গা আসার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, এখানে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর কোন সুযোগ নেই । কারন যারা কাজ কওে তাদের আইডি কার্ড দেখে আমরা কাজে নিই । আমার রেঞ্জে সুফল ও সামাজিক বনায়ন সহ বিভিন্ন প্রকল্পের চারা রোপণ শুরু হয়েছে।
মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমান জানান, আমার রেঞ্জে প্রায় একশত হেক্টর এর মতো বনায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এখানে কোন ধরনের রোহিঙ্গা কাজ করার সুযোগ নেই । আমরা আইডি কার্ড দেখে শ্রমিক নির্ধারণ করি এবং তাদের দিয়ে কাজ করছি।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, কিছু বনভুমি বনখেকোদের দখলে ছিল বনায়ন করার কারণে সেই দখল দারিত্ব ছাড়তে হচ্ছে তাদের । যার কারণে তারা বনায়ন ঠেকাতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আশা করছি এই অপপ্রচার স্থানীয় সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। যদি কোন যায়গায় রোহিঙ্গা কাজ করছে দেখা যায় তবে অফিসে অভিযোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.