মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের রামুর প্রায় দেড়শ বছরের প্রাচীন কাঠের তৈরি উসাইচেন বড় ক্যাং বৌদ্ধ বিহারে গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি)দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। সেই বহুল আলোচিত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আব্দুল ইয়াছির ওরফে শাহজাহান (২৩) নামে এক যুবককে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারটায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার জানান,যখন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, এর মাত্র ২০ মিনিট আগে রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন করে জানানো হয় ঈদগড় বাজারে আগুন লেগেছে। এমন খবরে দ্রæত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঈদগড়ের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু ঈদগড় বাজারে পৌঁছে তারা বুঝতে পারেন, খবরটি ছিল ভুয়া। এরই মধ্যে রাত ২টার পর পর রামু সদরের চেরাংঘাটা এলাকায় ওই বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন দ্রæত আগুন নেভাতে এগিয়ে আসায় এবং দমকল বাহিনীর সহায়তায় আগুন দ্রæত নেভানো সম্ভব হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিহারটির দোতলায় ওঠার সিঁড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। জাতীয় নির্বাচনের আগের এমন নাশকতার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি সারা দেশে আলোচিত হয়। তিনি আরো বলেন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিমের ছেলে মো. আব্দুল ইয়াছির ওরফে শাহজাহান (২৩) নামে এক যুবককে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কথামতে ব্যবহার করা মোবাইল সিম ও একটি ছোট বোতল ও কিছু ছোট কাপড়ের টুকরা উদ্ধার কার হয়েছে যা সে আগুন লাগানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে,গত বুধবার সন্ধ্যায় রামুর ফতেখাঁরকুলের হাইটুপি ভূতপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন রাতে ব্যবহৃত সেই সিমটি উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ঘটনার পর দিন শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংকিউ রাখাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে রামু থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুনয়ন বড়ুয়া।
অগ্নিকান্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ও রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান, ওসি (তদন্ত) ইমন চৌধুরী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনয়ন বড়ুয়াসহ পুলিশের একটি দল সেই ফোন কলের সূত্র ধরে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই ফোন ব্যবহারকারী এবং অগ্নিকান্ডের মূলহোতাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় বলে জানান পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংকিউ রাখাইন বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রাত ২টা ৬ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের দিকে বিহারের পাশের মাঠ দিয়ে অজ্ঞাত এক লোককে বিহারের দিকে আসতে দেখা যায় এবং দুই আড়াই মিনিট পরই ওই লোকটিকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
বিহার পরিচালনা কমিটির নেতারা জানান, দৃষ্টি নন্দন নির্মাণ শৈলীতে কাঠের তৈরি এটিই এখন সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার। এ বিহারটি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশেই সেদিন ফায়ার সার্ভিসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঈদগড়ে পাঠানো হয়। তার পরিকল্পনা ছিল, বড় ধরনের নাশকতা চালানো।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবক ইয়াছির রামু উপজেলা ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরলোয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিমের ছেলে।
Hi my loved one I wish to say that this post is amazing nice written and include approximately all vital infos Id like to peer more posts like this