মোঃ নেজাম উদ্দিন,
রামুতে কাঠ চোরাকারবারিদের সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে গড়ে তোলা কাঠের বাজার গুটিয়ে দিয়ে প্রায় ৫ হাজার আর এফ টি ঘনফুট বিভিন্ন জাতের গাছ জব্দ করেছে রামু উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা ও কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল ওসি সমীর রঞ্জন সাহা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রামু উপজেলা প্রশানস ও বন বিভাগ এর যৌথ অভিযানে রামু উপজেলার পানেরছড়া রেঞ্জের দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠিরমাথা নামক স্থানে বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন প্রজাতির ছোট আকারের বনায়নের গাছ কেটে এই বাজারে বিক্রি করা হতো। বনবিভাগ খবর পেয়ে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে বাজারটি বন্ধ করা হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল ওসি সমীর রঞ্জন সাহা জানান, গোপন সংবাদের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে আজকে এই অবৈধ কাঠ বাজারটি বন্ধ করা হয়েছে এবং সেই বাজার থেকে ৬ ট্রাক বিভিন্ন প্রজাতির ছোট কাঠ জব্দ করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫হাজার আর এফ টি ঘনফুটের বাজারমূল্য হতে প্রায় ২লক্ষ টাকা।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা জানান, আজকে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠিরমাথা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কাঠ জব্দ করা হয়েছে।
এই কাঠ কারা কেটেছে ও কারা এভাবে বিক্রি করছে তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের খুজে বের করা হবে।
নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম জানান, বনবিভাগ সবসময় সজাগ থেকে বন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
আজকে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভবযান পরিচালনা করে কাঠ বিক্রির একটি বাজার বন্ধ করা হয়েছে ও বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ করা হয়েছে।
কাঠ চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ও তাদের আইনের আওতায়আনা হবে।
এসময় সাথে ছিলেন, পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী বাহার উদ্দিন ও ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.