নিজস্ব প্রতিবেদক :
সেবা ও মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সকলের কাছে অতিপরিচিত একটি নাম। দেশের সংকট সময়, দূর্যোগ ও যেকোন ক্রান্তিলগ্নে রেডক্রিসেন্টের ভূমিকা অপরিসীম।
কক্সবাজারে এমন একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা বির্তক, অনিয়ম ও সমালোচনার শেষ নেই। কমিটির মেয়াদ শেষ সেই কবে, এখনো নির্বাচনের কোন খবরই নেই? এরমধ্যে এডহক কমিটির মেয়াদও শেষ! বুধবার শেষদিনে ঘটলো আরেক ঘটনা। এদিন সন্ধ্যায় রেডক্রিসেন্ট অফিস থেকে খবর আসে রাতের আধাঁরে মালামাল সরানোর। এসব মালামাল সন্ধ্যা থেকে সরানো শুরু হলেও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল কর্তৃক গণমাধ্যম কর্মীরা খবর পায় রাত ৯টায়৷ খবর পেয়ে পরে রেডক্রিসেন্ট অফিসে সরেজমিনে গেলে রাতে দায়িত্বরত স্টাফরা বিষয়টি অস্বীকার করে।

গণমাধ্যম কর্মীরা পরে খবর পান বইল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মালামাল বোঝাই একটি টমটম স্থানীয় জনতা আটকে রাখে। ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
দেখা মিলে মালামাল সরানো অফিস সহায়ক রমজান আলীর। ঘটনাস্থল থেকে তাকে দিয়ে মালামাল গুলো পুনরায় রেডক্রিসেন্ট অফিসে ফেরত পাঠানো হয়।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি মারাত্মক। মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটির লোকজন এসব কাজে জড়িত।
তিনি জানান, বিষয়টি রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট লেভেল অফিসারকে জানানো হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের ইউনিট লেভেল অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিস সহায়ক রমজান আলীকে অভিযুক্ত করে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবরের এই নোটিশ বিডিআরসিএস এর ইউনিট এ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক বরাবর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.