নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঈদের বোনাস ও বেতন না পাওয়ার দাবিতে
নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারী কলেজ শনিবার (১৪মে) থেকে ক্লাস ও কলেজের সমস্ত কাজ বর্জন করেছে কলেজ শিক্ষক পরিষদ।
হাজী এম এ কালাম কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, ঈদে আমরা বোনাস ও বেতন পাইনি। পরিবার নিয়ে আমরা ঈদ আনন্দের সাথে পালন করতে পারিনি। পুরো জীবন এই কলেজে কাটিয়ে দিয়েছি। এখন আমাদের বেতন বোনাস দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে।তাহলে আমরা পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো? উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী কালাম সরকারী ডিগ্রি কলেজটি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠাকালিন বিনা বেতনে চাকরি করেছি। ফান্ডে টাকা না থাকায় বেতন-ভাতা নিইনি।এখন ফান্ডে প্রায় ৪২ লাখ টাকা স্থিতি আছে। ৭৫℅ বেতন দিলে ব্যয় হবে মাত্র সাড়ে ৭ লাখ টাকা। কলেজের ক্ষতি হবে না। কিন্ত বেতন পাচ্ছি না।
গত বৃহস্পতিবার(১২ মে) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস এর সাথে বৈঠকে তাদের দাবী নিয়ে বৈঠক হলে দাবি পূরণ না হওয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করেন শিক্ষক পরিষদ। শুধু ক্লাস বর্জন নয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহনেও বিরত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
হাজী কালাম সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ও আ ন ম রফিকুল ইসলাম বলেন,শিক্ষকদের দাবী যৌক্তিক। কিন্ত ক্লাস বর্জনের মতো কর্মসূচি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কলেজের অর্থ ও অন্যান্য বিষয়ের মনিটরিং এ দায়িত্বরত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেন,স্ট্যান্ডিং কমিটির রেজুলেশন নেই আর ৭৫% বোনাসে সরকারী সিদ্ধান্তও নেই। তাই তিনি নিজ থেকে এ ঈদ বোনাস দিতে পারেন না। যে বিষয়টি তিনি বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলে জানান।
এদিকে গত সপ্তাহের শনিবার (৭ মে) সকাল থেকে ক্লাস করা থেকে বিরত থাকেন। রোববার দুপুরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিতের এ ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। আর মঙ্গলবার কাজে যোগদান করেছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন শিক্ষকদের বেতন বোনাস দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আবারো আন্দোলনের ডাক দেন।
এব্যাপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি একটি মিটিং এ আছেন এবিষয়ে আপনার সাথে কথা বলবো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.