বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শহরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে প্রায় ২৫০ অটোরিক্সা আটক

মোঃ নেজাম উদ্দিন,
চলমান বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা আটক করতে মাঠে নেমেছে। গত ২৩ জুলাই গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা প্রায় ২৫০ টি আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের টি আই (প্রশাসন) আমজাদ হোসেন।
তিনি জানান, গত ২৩ জুলাই থেকে আমাদেও এই অভিযান শুরু হয়। দেশের চলমান বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপার এর আদেশে আমলা শহরের কলাতলীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এই অভিযান পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। তিনি আরো জানান, অভিযানে অনেক রোহিঙ্গা চালক ধরা পড়েছে। যারা শহরে অটোনিক্সা চালাচ্ছে এই অভিযানের কারণে অনেক রোহিঙ্গা গা ডাকা দিয়েছে।
এদিকে অভিযানে আটক হওয়া অটোরিক্সার মালিক লাল মিয়া জানান, ৪দিন হয়েছে আমার রিক্সা আটক করা হয়েছে। আমার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম এটি। গত ৩দিন ধরে বাড়িতে কোন ধরনের বাজার কিনে নিয়ে যেতে পারিনি। যদি আমাদের ব্যাটারি চালিত রিক্সা না চালাতে বলে তবে আমার ব্যাটারি খুলে রিক্সা বানিয়ে ফেলবো । তারপরেও আমাদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে রিক্সাটি ফেরত দেওয়া হউক।
আরেক অটো রিক্সা চালক নেচার মিয়া জানান, আমার গত ৩ দিন ধরে ট্রাফিক অফিসের সামনে দাডিয়ে আছি। যদি ব্যাটি চালিত রিক্সা চালাতে না দেন তবে আমরা ব্যাটারি খুলে প্যাডেল রিক্সা বানিয়ে চালাবো তারপরেও যেন আমাদের পরিবার না খেয়ে থাকে সেদিে নজর রাখার দৃষ্টি আর্কষন করছি।

মোঃ ফায়সাল নামের জৈনক ব্হযাক্ঠাতি জানান,হঠাৎ এই ধরনের সিদ্ধান্তঃ শত শত পরিবার চরম দুর্ভোগের শিকার হতে পারে।এই পেশা একদিনেই সৃষ্টি হয়নি। তারা বেশিরভাগ ঋন নিয়ে।ধার দেনা নিয়ে, কিস্তিতে এই গাড়ি কিনে থাকেন। তারা বৈধ ভাবেই চালিয়ে আসছেন, পৌরসভার লাইসেন্স, মাসিক মাসোহারা দিয়ে আসছেন। একেক টা পরিবারে ৫-৭ জন সদস্য থাকতে পারে,তাদের দায়িত্ব কেউ কি নিবেন? দীর্ঘ বছরের এই পেশায় ধীরে ধীরে জড়িত তারা, যারা এই গাড়ি আমদানি বা মুল ব্যবসায়ী তারাতো ইতিমধ্যে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে, কিন্তু সাধারণ চালক রা কেন এসবের বলি হবেন? তাদের পরিবার? তাদের পুনঃকর্মসংস্থান করার পর এই গাড়ি বন্ধ করা সমীচীন বলে মনে করি।
এব্যাপারে জানতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ) মোঃ রফিকুল ইসলামের  টেলিফোনে কথা বলতে ফোন করা হলে ফোনে রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.