মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
৩দিন গত হয়েছে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। জেলেদের মাছ ধরতে বেশি দূরে যেতে হচ্ছে না। জেলেরা অল্প সময়ে মাছ ধরে নিয়ে আসছে আর তা তরতাজা বিভিন্ন বাজারে চলে যাচ্ছে। তবে মাছের বাজার মূল্য ভিন্ন দেখা দিয়েছে। সামুদ্রিক মাছ ইলিশসহ রুপচাদা, লইট্যা মাছ , মাইট্ট্যা মাছ, পোয়া মাছ , ফাইস্যা মাছ, তাইল্যা মাছ, লাল পোহা মাছসহ প্রতিটি মাছের মূল্য আকাশ চুম্বি। মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে বলে ধারণা করছে স্থানীয় সুমীল সমাজ। ফলে অনেক পরিবারের ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছা থাকলের চড়া মুল্যের কারণে এই ইলিশ মাছ খাবার টেবিল পর্যন্ত যাচ্ছে না। মাছ বাজারে আসা এনজিও কর্মী মিজান জানান, কক্সবাজারে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে ইালশ মাছ প্রচুর দেখতে পাচ্ছি তবে মাছের দও আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি ইলিম মাছের মুল্য ওজন বেধ ১হাজার থেকে ১৬শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে।
মাছ ব্যবসায়ী সরওয়ার জানান, প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে । তবে সে হিসাবে মাছের দাম একটু বেশি। বর্তমানে ওজনে ২ কেজির উপরে যে ইলিশ মাছ হয় সেটি ১৬শ টাকা ১কেজি থেকে ১২শত গ্রামের যে ইলিশ তা ১হাজার থেকে ১২ শত টাকা ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭৫০ থেকে ৮শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রুপচাদা মাছের চাহিদা থাকার কারণে সেটির দামও বেড়ে গিয়ে ১হাজার থেকে ১১শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে মাছ ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, কক্সবাজার সমুদ্র এলাকা। এখান থেকে অনেক দেশে মাছ রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণে স্থানীয়রা সামুদ্রিক মাছ কিনে খেতে পারছে না । তাদের খাবারের তালিকায় এই মাছ নেই, যা অত্যান্ত দুঃখজনক। আশা করছি প্রশাসন নজর দিবে এই বিষয়ে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন জানান, আসলে মাছের বাজার নির্ধারণ করে কে কত দিয়ে কিনলো। কক্সবাজার ফিসারি ঘাটে গেলে দেখা যাবে নিলাম আকারে মাছের ডাক হয়। সেই ডাকের উপর মাছের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়। যদি এতে কোন অনিয়ম হয় আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।
কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা জানান, প্রশাসনিকভাবে বাজার মনিটরিং এর অভাব রয়েছে । মানুষের ভোগ্যপণ্যের সব কিছু দাম সঠিক এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকা উচিৎ। বর্তমানে শক্ত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে যে যেমন পারছে বাজারে দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো স্থানীয় জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিবেন।
# ইলিশের দাম চড়া
# মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে
# জেলায় নিবন্ধিত জেলে ৬৩ হাজার ১৯৩ জন
# শতে ১ লাখের উপরে বিক্রি
# জেলেদের মুখে হাসি
# চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে
অন্যদিকে কক্সবাজারে নিবন্ধিত ৬হাজার ট্রলার রয়েছে । তার মধ্যে ৪ হাজার ট্রলার গত ২৩ জুলাই থেকে মাঠ ধরা শুরু করেছে । বাকি ২ হাজার ট্রলার আর্থিক সংকটের কারণে এখনো সাগরে যেতে পারেনি। আরো ৪ থেকে ৫ হাজার ট্রলার অনিবন্ধিত রয়েছে তারাও মাছ ধরতে গেছে। এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার ট্রলার ঘাটে ফিরেছে মাছ নিয়ে। গতকাল সকালে ঘাটে আসা কয়েকটি ট্রলারে ১শত মন পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। অন্যান্য ট্রলারে ৫শত থেকে ২হাজার পর্যন্ত ইলিশ পেয়েছে জেলেরা । সেই হিসাবে গতকাল সকালে প্রায় ২শত ট্রলার ঘাটে ফিরে সেই হিসাবে গতকালই ১৮ থেকে ২০ মেট্রিক ট্রন মাছ মাছ আসার কথা । কিন্ত ু মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বলছে গত ৩দিনে মাত্র ৩২ মেট্রিক টন মাছ পেয়েছে । কেন হিাসবে গড়মিল তা এখনো খুজে বের করা যায়নি। বর্তমান অবস্থা হচ্ছে এখনো প্রতিদিন সকালে ট্রলার আসছে গভীর সমুদ্র থেকে। জেলেদের বেশি দূওে যেতে হচ্ছে না ৫০ নটিকেল মাইলের মধ্যে মাছ পাওয়ার কারণে তারা দ্রæত মাছ নিয়ে ঘাটে ছিওে আসতে পারছে। জেলেরা বলছে যদি এমম আবহাওয়া থাকে তবে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে জারে। তবে সমুদ্রে মাছ ধরা পড়লেও বাজারে মাছের মুল্যে তেমন প্রভাব পড়েনি।
৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার সুফল পাচ্ছে জেলেরা। সাগরে মাছ শিকার শেষে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ভিড়ল। আর ট্রলার থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পল্টনে বিক্রির জন্য ঝুঁড়িতে রাখা হচ্ছে ইলিশ। যা দেখে মুখে হাসি ওই ট্রলারের মাঝি ফখরুলের ।দশ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছি। কিন্তু ১ দিনের মধ্যে মাছে ট্রলার ভরে যাওয়ায় তা বিক্রির জন্য ফিশারী ঘাটে ফিরে এসেছে। এবার কয়েক হাজার ইলিশ মাছ পাওয়ার কারণে ফিরে আসা। যা শতে লাখের উপর বিক্রি করা হচ্ছে। । তিনি বলেন, টানা ৬৫ দিন সরকারি নিষেধ থাকায় সাগরে মাছ শিকারে যেতে না পারার কষ্ট ভুলে গেছি।
মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে সাগরে যাচ্ছে জেলেরা। এতে খুশি মৎস্য সম্পদের সাথে জড়িত দুই লক্ষাধিক মানুষ। সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে ইলিশ ২.৮৮ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ি দাঁড়িয়েছে ৫.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ২০ মে’ থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সাগর-নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত কক্সবাজারের প্রায় ৬৫ হাজার জেলে সাগর-নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য সম্পদের সাথে জড়িত দুই লক্ষাধিক মানুষ। এময় অসহায় জেলেদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দেয়া হয়েছে ত্রাণ সমায়তা। অবশেষে ৬৫ দিন পর আকাঙ্খিত দিন ফিরে আসায় আনন্দিত জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও বোট মালিক।
ফিসারীঘাটের জেলে লিয়াকত মিয়া জানান, দীর্ঘদিন সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পেরে খুবই কষ্টে ছিল। যদিও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। এখন বন্ধ খুলেছে। সুতরাং আর অভাব থাকবেনা। ট্রলার মালিক জসিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন মাছধরা বন্ধ থাকায় ব্যবসার ক্ষতি হলেও সরকারের দেওয়া নির্দেশ মান্য করেছে বড় কিছুর আশায়। সব রেডি করে সাগরে ট্রলার পাঠানো হচ্ছে। আল্লাহ সহায় হলে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ফিরে আসবে। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মাছ ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন বেকার দিন কেটেছে। এখন থেকে আবার কর্মব্যস্থ জীবন যাবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মোঃ বদরুজ্জামান জানান, সরকাদের এই সিন্ধান্তকে শুরুর দিকে ভালভাবে নেয়নি জেলেরা। পরে ভাল ফলাফল পেয়ে উপকৃত হওয়ার আনন্দের সাথে এই সিন্ধান্ত মেনে নিয়েছে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখার ফলে সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেড়েছে পাশাপাশি ইলিশ ২.৮৮ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। যদিও একসময় এই রূপালী ইলিশ বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
এদিকে যখন ট্রলার থেকে দু’হাতে বিক্রির জন্য ঝুঁড়িতে রাখছে ইলিশ তখন আনন্দে ঝলমল করছে কক্সবাজার উপকূলের জেলে আব্দুল হাই’র দু’চোখ। এই দৃশ্যের দেখা মিলেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটিঘাটে।ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আর বড় বড় সামুদ্রিক মাছ সুরমা, রিটা ও টুনা। সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে এসব সামুদ্রিক মাছ। যা বিক্রির জন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটি ঘাটে ফিরছে জেলেরা।“গত কয়েকবছর ধরে সাগরে মাছের পরিমাণ তেমন ছিল না। সারাদিন সাগরে জাল ফেলেও মাছের দেখা মিল তো না। কিন্তু এখন সাগরে মাছের পরিমাণ বেড়েছে এবং সাইজেও অনেক বড়। এসব তথ্য জানাচ্ছিলেন জেলেরা । হিসাব করলে মাত্র ৮ ঘণ্টা জাল ফেলে ধরা পড়েছে হাজার হাজার ইলিশ। যার প্রতিটির ওজন এক কেজিরও বেশি। দীর্ঘ ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার পরে এমন ইলিশের দেখা পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা। সরগরম হয়ে ওঠেছে কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ফিশারিঘাটসহ জেলার উপকূলীয় পল্লী। সাগরে ছুটছে মাছ ধরার নৌকা। সব মিলে পূর্ণ কর্মচাঞ্চল্যে মৎস্যজীবীরা। কক্সবাজার জেলায় নিবন্ধিত জেলে ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। মাছ নির্ভর জীবন চলে প্রায় তিন লাখ মানুষের। মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। শনিবার (২৩ জুলাই) ওঠে যায় সেই নিষেধাজ্ঞা। মধ্যরাতেই সাগরে ছুটে জেলেরা। তবে, প্রথম দিনে ইলিশের দাম চড়া। কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয়রা। বেশি দামের আশায় ট্রলারভর্তি ইলিশ ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে জেলার বাইর। আবদুস শুক্কুর নামক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতে ইলিশের চাহিদা রয়েছে। তাই বাড়তি দামে ইলিশ কিনে দ্রæত তা প্যাকেটজাত করে গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দু রহিম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা যাওয়ার পর রোববার প্রথম দিন। তাই জেলেরা অতিরিক্ত দাম হাকাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে বেশি দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে। ১ কেজি বেশি ওজনের ইলিশ প্রতিশতে বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের ইলিশ ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।’ রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে ফিশারিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর পরিমাণ ইলিশ, তাইল্লা, মাইট্টা, লাল পোয়া, ফাইস্সা, কামিলা ইত্যাদি মাছ। ভরে গেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পল্টুন। দেখা গেল, একের পর এক ট্রলার ভিড়ছে ঘাটে। আর ট্রলারে বসে একেকটি ইলিশ গুনছেন জেলেরা। দু’হাতে ভরছেন ঝুড়িতে। আর বেচাবিক্রির জন্য দ্রæত তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পল্টুনে। মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। দীর্ঘদিন পর পল্টুনে ইলিশ দেখে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের। মৎস্যজীবীরা বলছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে বড় বড় ট্রলার যাচ্ছে সাগরে শিকারে। আবার কিছু কিছু ট্রলার ফিরছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে জেলেদের মুখে রয়েছে হাসি। তারা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ফখরুল নামের এক ট্রলার মাঝি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাতে সাগরে মাছ শিকারে যায়। কিন্তু গভীর সাগরে না গিয়ে মাত্র ৪ ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে জাল ফেলতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়েছে ইলিশ। তাও আবার আকারে অনেক বড়। কয়েক ঘণ্টা মাছ শিকারের পর ৫ হাজার ইলিশ নিয়ে দ্রæত ঘাটে ফিরেছি।’ আরেক জেলে রুস্তম বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম পানি বেড়েছে। তাই জালে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। রাতে গিয়ে জালে ফেলে তা ট্রলার ভরে যায়। সকাল ১১টার দিকে অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ফিরলাম। ইলিশের ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। খুব খুশি লাগছে।’ তবে নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ না হতেই অনেক ট্রলার সাগরে নামে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে প্রথম দিনেই মাছ নিয়ে ফিরেছে জেলেরা। আর এসব ট্রলারের মাছগুলোর বেশি দাম হাকাচ্ছে। সাগরে মাছ ধরা শুরু হলেও বাজারে দাম রয়েছে আগের মতোই। এসবের মাঝেও পরিস্থিতিতে ইতিবাচক দেখছেন বিজ্ঞজনেরা। ব্যবসায়ীরা বলছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনেছেন ট্রালার মালিক ও জেলেরা। তাই ট্রলারভর্তি মাছ পাচ্ছেন। প্রথম দিনে আকারভেদে কেজিতে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে কমে আসবে এই দাম। একজন মৎস্যজীবী বলছেন, একদিন আগে মাছ ধরতে গেছেন। প্রথম জালেই প্রায় ৩ হাজার ইলিশ পড়েছে। দাম ধরে বিক্রির জন্য দ্রæত ঘাটে চলে এসেছেন। এখন আবার যাবেন। মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি টুলু বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাত থেকে কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে গেছে। কিন্তু সকাল না হতেই অনেক জেলে ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে অবতরণ কেন্দ্রে ফিরেছে। মাছগুলো অনেক বড় আকারের। সাথে অন্যান্য মাছও প্রচুর ধরা পড়েছে। এটা মূলত সরকারের সফলতা। এ প্রসঙ্গে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার তারাপদ চৌহান জানান, সাগরে আগে যেতে পারলে দাম একটু বেশি পাবে। তাই জেলেরা প্রতিযোগিতা করে সাগরে গেছে। প্রথম রাতেই ছোট বোটগুলো কাছাকাছি স্থানে মাছ ধরেছে। কম সময়েই অধিক মাছ নিয়ে ফিরেছে। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার সুফল পাচ্ছে জেলেরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.