বন্যপ্রাণীর সাথে যেন সংঘাত না হয়-ডিএফও

মোঃ নেজাম উদ্দিনঃ

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ শুরু করেছে মানুষ হাতি সংঘাত নিরসনে সচেতনতা মূলক সভা।
বনবিভাগের জেলা প্রধান থেকে শুরু৷ করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ জেলার সকল স্থানে সচেতনতা মূলক সভা করে যাচ্ছে।
গত সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বাকখালী রেঞ্জের অধীনের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করতে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহযোগিতায় “মানুষ – হাতি সংঘাত” নিরসন শীর্ষক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং বনসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার। সভাপতিত্ব করেন সহকারী বনসংরক্ষক ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম,
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সারওয়ার জাহান , প্রমুখ। সভায় দেড়শতাধিক নারী-পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বন বিভাগের ফরেস্টারসহ ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য রাখছেন বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার আলম

প্রধান অতিথি বলেন,প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে হাতির সংঘাত বেড়ে চলেছে। জেলার অধিকাংশ বন্যভূমি মানুষের দখলে নিতে মরিয়া। শুধু নিজের চিন্তা করলে হবে না। মহান আল্লাহর সৃষ্টি অন্য প্রাণীদের ও পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার রয়েছে। বন্যপ্রাণীর সাথে যেন সংঘাত না হয় সেদিকে সবার নজর থাকা দরকার। মানুষের সাথে হাতির সংঘাত বন্ধ করতে হবে।
মানুষের সাথে বন্যহাতির সংঘাত যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে বনবিভাগ কাজ করছে।
বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল ছেড়ে দিতে হবে আমাদের।
তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হলে মানুষের উপর আঘাত করবে না। বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলের একসাথে কাজ করতে হবে।
তারজন্য প্রথমে আমাদের নজরে রাখতে জ
হবে যেন বনভূমি দখল না হয়।

তিনি আরো বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্যহাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। তিনি আরো বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানান, তবুও যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী , বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ রয়েছেন। মানুষ ও হাতির সংঘাত নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সহকারী বনসংরক্ষক ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, বন বিভাগ বন্যহাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারি বনভূমি জবরদখলমুক্ত, বন্যপ্রাণী, ও বন্যহাতিদের সংরক্ষণ এবং বনজসম্পদ রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.