বনায়নে সহযোগিতা করুন-প্রধান বন সংরক্ষক

মনখালীতে সুফল প্রকল্পের সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায়

মোঃ নেজাম উদ্দিনঃ

সুফল প্রকল্পের সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের হোয়াইক্যং রেঞ্জের মনখালী বিট অফিস কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নেকম এর শফিক আহমদের সঞ্চালনায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম এর সভাপতিেত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুফল প্রকল্পের ডাইরেক্ট গোবিন্দ রায়, বনবিভাগের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান বিপুল কৃষ্ণ দাশ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি ডঃ ইশতিয়াক সোবহান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য বাখেন, এনটিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি ইকরাম টিপু, সিএমসির সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম প্রমুখ।
এছাড়া সুফলভোগীরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ মিনার চৌধুরী জানান, আমরা প্রথমে সুফল প্রকল্পের অর্থায়নে যেসব বাগান হয়েছে পাশের এলাকায় সিআইপি কমিটি গঠন করি। এই কমিটি মাধ্যমে আমরা গ্রামের সকল মানুষেদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে অতি দরিদ্রদের নির্বাচন করে তাদের বিকল্প জীবিকার জন্য তাদের বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৪২ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।

এই পর্যন্ত ৪টি বিটে ১৫৩টি চেকের অনুবলে ৬৪লক্ষ ২৬হাজার টাকা ঋণের জন্য অনুমোদন পায়।
তারমধ্যে মনখালী বিটের ঢালারমুখ হাজমপামপাড়া এফসিভি ৩০টি চেক চ্যাপটখালী চাকমা পাড়া নতুন চাকমাপাড়া এফসিভি ৫৫টি চেক, হোয়াইক্যং বিটের হরিণখোলা দৈংগাকাটা এটসিভি ২৬টি চাকমা পাড়া কেরনতলীপাড়া মনিরখোলা এফসিভি ৪২টি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এর মাধ্যমে যারা বনে যেত গাছ কাটতে তারা এখন অন্যসব কাজ করে জীবিকা নির্বাহ জীবন পরিচালনা করতে পারবেন। আশা করছি এর মাধ্যমে বন রক্ষা হবে।

প্রধান বন সংরক্ষ মোঃ আমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা এখন সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থা করেছি। তাদের মাধ্যমে আমরা আবারো বন তৈরি করবো। আগে বনে প্রচুর গাছ ছিল। গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এখানে ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। দগাছ অক্সিজেন দেয় কিন্তু সেই গাছ আমরা কেটে ফেলছি। আমাদের আবারো গাছ লাগিয়ে আগের বন ফিরিয়ে আনতে চাই আপনাদের মাধ্যমে।
মনখালী বিটে লোকবল কম তাই আপনাদের মাধ্যমে এই বিশাল এলাকায় আমরা বনায়ন গড়ে তুলবো। ঋণের মাত্র ৬০% আপনাদের দেওয়া হয়েছে। আরো ৪০% ঋন আপনারা জীবন গড়তে পাবেন।
পানের বরজ করবেন না আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো। সরকার আপনাদের সহযোগিতা করবে।

অনুষ্ঠানে আগতরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.