# ৫হাজার চারা রোপন
# পরিবেশ রক্ষায় ভ‚মিকা রাখবে
# রয়েছে সাড়ে ৪হাজার পরিবার
মো. নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
পরিবেশ বান্ধব আশ্রয়ণ প্রকল্প রূপান্তরের জন্য কক্সবাজার পৌর শহরের কুতুবদিয়া পাড়ায় অবস্থানরত জলবায়ু উদ্বাস্তদের জন্য তৈরি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে আবাসন প্রকল্পে বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ করেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী । কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের পিএমখালি রেঞ্জ এর অধিনে এই চারা রোপণ করা হয় বলে জানা গেছে বনবিভাগ থেকে।
উদ্বাস্তদের জন্য নির্মিত খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্পে বন বিভাগ কর্তৃক প্রায় ৪ একর জায়গায় ৫হাজারের অধিক বিভিন্ন জাতি চারা রোপণ করা হয়। এই কার্যক্রম জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকি ও বনবিভাগের সহযোগিতায় এ বনায়ন করা হয়। বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে নারিকেল, কাঠবাদাম, দেবদারু, ঝাউ, জাম, জলপাই, পেয়ারা, বাতাবিলেবু, মাল্টা, আম, কাঠাল, আতা, কামরাংগা, বিলেতি গাব, লিচু, বহেরা, হরিতকি, বেলেম্বু, গর্জন, অর্জুন, সুপারি, সোনালু, নিম, ইত্যাদি দেশীয় প্রজাতির পরিবেশবান্ধব চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা পাবেন করছেন পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক বাবুল।
বনবিভাগ বলছে , দেশের সবচাইতে বড় জলবায়ু উদ্বাস্তদের জন্য তৈরি এই আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুন্দর্য বাড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগ নিয়ে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে চারা রোপণ করা হয়েছে ।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের একজন আবছার জানান, আমাদের এখানের মরুভুমির মতো দেখা যেতো । আগে কোন ধরনের গাছ ছিল না । এখন চারা রোপণ করা হয়েছে দেখতে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। আশা করা যায় এই চারা বড় হলে এই আশ্যয়ন প্রকল্পের চেহারা পাল্টে যাবে এবং পরিবেশ বান্ধব একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে রূপান্তর হবে।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, চারা রোপণের মাধ্যমে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে। এই চারা বড় হলে আশ্যয়ন প্রকল্পে যারা আছে তাদের অনেক কাজে আসবে সেই সাথে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে ।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, এই সময়টা চারা রোপনের । আমরা দেশের কল্যানে কাজ করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের বৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বনবিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই চারা বড় হলে যেমন ফল পাবে তেমনি পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য কক্সবাজারে আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর উন্নীত করার কারনে পাশ^বর্তী থাকা প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ফ্ল্যাট দিয়েছে সাবেক সরকার। প্রথম ধাপে এই মাসে ৬০০ পরিবারকে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়। বিশ্বমানের পর্যটন শিল্প বিকাশ ও ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনায় কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। বিমানবন্দর সস্প্রসারণের লক্ষ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড শহরের কুতুবদিয়া পাড়া, নাজিরাটেক ও সমিতি পাড়া এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার। অধিগ্রহণের আওতায় পড়া জমিতে চার হাজার ৪০৯টি পরিবার বাস করত, তারা ভূমিহীন হয়ে পড়ে।
সাড়ে চার হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার ক্ষতিগ্রস্থকে পুনর্বাসন করতে সাবেক সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প’ হাতে নেয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষা এলাকায় প্রায় ২৫৩ দশমিক ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পে ১৩৭টি পাঁচ তলা ভবন। আরও জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত¦াবধায়নে ২০১৭ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.