মোঃ নেজাম উদ্দিন,কক্সবাজারঃ,
শুরু করেছে দেশের সাধারণ মানুষ। এই প্রকল্প শুরু থেকে কিছু জায়গায় বনায়ন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ রামু উপজেলার শুধু একটি ইউনিয়নে ১কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা বিতরণ করবে। আর তা পাবে বন বিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জের দুই বিটের ১৬৮ জন সাধারণ মানুষ।তাদের তালিকা করে চেক বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
কক্সবাজারে গত মঙ্গলবার (২আগষ্ট) বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জাতীয় বৃক্ষমেলা শেষ হয়েছে। অনুষ্টানে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং রেঞ্জের অধিনে ধোয়াপালং বিট ও খুনিয়াপালং বিটে ১৬৮জন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে দুই বিটে ১ কোটি ৭৪লক্ষ ৮৮ হাজার৮৫ টাকা বিতরণ করা শুরু করেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ। গতকাল আনুষ্টানিকভাবে দুইজনের হাতে চেক প্রদান করে এই টাকা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত সামাজিক বনায়নের সুফলভোগীদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। অনুষ্টানে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জাবেদ ইকবাল (সার্বিক) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেক প্রদান করেন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭-২০০৮ সালের সৃজিত সামাজিক বনায়নের ধোয়াপালং বিটে ৪৯ হেক্টর ও খুনিয়া পালং বিটে ৩৫ হেক্টর বাগানের সুফল ভোগীরা এই টাকা পাবে।
ধোয়াপাালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ধোয়াপালং বিটের ৪৯ হেক্টর বাগানের সুফলভোগী মোট ৯৮ জন । বাগানটি বিক্রয় মুল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৪হাজার ৩শত ২০ টাকা। সেখান থেকে বন অধিদপ্তরের অংশ বন রাজস্ব হিসাবে জমা করা হয়েছে ৪৫% বা ৬৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯শত ৪৪ টাকা। বাকি ৪৫% হিসাবে প্রতিজন উপকারভোগী এই বাগান থেকে টাকা পাবেন ৬৭ হাজার ২শত ৬৪ টাকা করে। এই বাগান থেকে ট্রি ফামিং ফান্ড হিসাবে জমা করা হয়েছে ১০% বা ১৫ লক্ষ ৮ হাজার ৪শত ৩২ টাকা । অন্যদিকে একই সেশনের বাগান খুনিয়াপালং বিটে ৩৫ হেক্টর বাগানের সুলভোগী মোট৭০ জন। এই বাগানটি বিক্রয় করা হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৯২ টাকায় । এখান থেকে বন রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ৪৫% হিসাবে ১ কোটি ৭লক্ষ ১হাজার ৪১ টাকা । এই বাগান থেকে সুবিধাভোগীরা তাদের ৪৫% অংশ হিসাবে প্রতিজন পাবে ১লক্ষ ৫২ হাজার ৮ শত ৩২ টাকা। এই বাগান থেকে ট্রি ফামিং ফান্ড হিসাবে জমা করা হয়েছে ১০% বা ২৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬টাকা।
# দুই বিটে ১৬৮জন উপকারভোগী
#দুই বিটে মোট ৮৪ হেক্টর বনায়ন
# বিক্রয় ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬৪হাজার টাকা
# উপকারভোগী পেয়েছে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮৮ হাজার৮৫ টাকা
কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনে রামু উপজেলার ধোয়াপালং রেঞ্জের ধোয়াপালং বিট ও খুনিয়াপালং বিট মিলে মোট ১৬৮ জন উপকারভোগীদেও এই অথৃ প্রদান করা হবে । গতকাল আনুষ্টানিকভাবে মেলা শেষে বিতরণ শুরু হয়েছে। বনবিভাগ সুফল বনায়ন সমাজের তথা দেশের মানুষের আর্থিক লাভের জন্য করে থাকে । তাই পরিপূর্ণ না হওয়ার আগে গাছ কাটা ক্ষতিকর। আমরা বনবিভাগের মাধ্যমে গাছের বয়স পূণৃ হলে তা বিক্রি কওে উপকারভোগীদেও হাতে টাকা তুলে দিব। আশা করছি সকলে এতে সহযোগিতা করবেন এবং বনায়নের কোন গাছ নষ্ট করবেন না ।তিনি আরো জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সুফলভোগী হয়েছে ১হাজার ৪শত ২০জন। আর তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে ১৩ কোটি ৯৩লক্ষ ৫৭ হাজার ৬ শত ৯৮টাকা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.