ট্রাফিক এসপি ও সার্জেন্ট মাজহারুলকে ২৪ ঘন্টায় অপসারণের দাবী
কক্সবাজারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’। একই সাথে কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক ও আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের জেলা শাখার পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল মজিদকে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদও জানানো হয়। তৎক্ষণিক বিক্ষোভকারীরা সার্জেন্ট মাজহারুল ও ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীসহ দুর্নীতিতে যারা জড়িত তাদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের দাবী জানান। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই দাবী জানান।
বিক্ষোভকারীরা বলেন- দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার বার্তা প্রধান ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাশেদুল মজিদ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে কলাতলীর মোড়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যান। এসময় তিনি সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং এবং যানজটের ছবি ধারণ করেন নিজ মোবাইলে। বিষয়টি দেখে তৎক্ষণিক সাংবাদিক রাশেদুল মজিদকে শারীরিক আক্রমন করে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেন দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাজহারুল। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখানো হলেও ওই ট্রাফিক সদস্য কার্ডও ছিনিয়ে নেন সাংবাদিকদের। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে একজন পেশাদার সাংবাদিকের সাথে এমন আচরণ করতে পারে না। ট্রাফিকের অবৈধ লেনদেন ও অপরাধ কর্মকান্ড আড়াল করতে সার্জেন্ট মাজহারুল সাংবাদিককে আক্রমন করেছে। দ্রুত হামলাকারী সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশের দুর্নীতিগ্রস্থ সদস্যদের অপসারণের দাবী জানানো হয়। একই সাথে রাশেদুল মজিদ একজন পরিবেশ সংগঠক এবং আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের জেলা শাখার পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন শেখ বলেন- ট্রাফিক পুলিশ কক্সবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম করে যাচ্ছে। শহরের প্রতিটি মোড় থেকে দৈনিক ও মাসিক চাঁদা তুলে ট্রাফিক পুলিশ। শুধু মাত্র কলাতলীর মোড় থেকে দৈনিক লাখের উপর চাঁদাবাজি করে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাদের চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে। যার কারণে সাংবাদিক দেখা মাত্রই আক্রমণ করেছে। বিতর্কিত সার্জেন্ট মাজহারুল এবং ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের দাবী জানাচ্ছি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন বলেন- কক্সবাজারে ট্রাফিকের চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে। বাস কাউন্টার, টমটম, সিএনজি, বাস, বাইক, নোহা-কারসহ সড়কের পাশে অবৈধভাবে পার্কিং বসিয়ে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। কলাতলীর মোড়ে তাদের চাঁদাবাজী প্রকাশ্যে। ট্রাফিকের প্রতিটি সদস্য এই অনিয়মের সাথে জড়িত। তারা চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারা করেন নিয়মিত। যার কারণে ট্রাফিকের সদস্যরা এতো বেপরোয়া।
বিক্ষোভ সমাবেশে আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন- ট্রাফিকের দুর্নীতি সীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা নিয়মিত সাধারণ মানুষকে হয়রাণি করে যাচ্ছে। প্রতিটি পরিবহন সেক্টর থেকে চাঁদা নিচ্ছেন। এমনকি অনিয়মের ছবি তুলতে যাওয়া পেশাদার সাংবাদিককে হামলা করতেও বিবেকে বাঁধা দিচ্ছে না। এসময় অনিয়ম-চাঁদাবাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সহ-সভাপতি কমরেড সমীর পাল, সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন পিয়ারু, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, দৈনিক সকালের কক্সবাজার এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক ফরহাদ ইকবাল, কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি সফিনা আজিম ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহীম, করিম উল্লাহ বাদশা, মনোয়ারা মনি, সেলিম উল্লাহ, ওমচান গণি, নুরুল আজিম নিহাদ, কলাতলী উত্তর আদর্শগ্রাম সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, রিদুয়ানুর রশিদ আবিস্কার, জাহাঙ্গীর আলম, মিনহাজুল আবেদিন, হোসাইনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, মফিজুর রহমান, ভুট্টু, আব্দুল আজিজ, আবছার কামাল, আব্দুর রহমান, মো. আজাদ, মো. রানা, জসিম উদ্দিন ও তৌহিদুল ইসলামসহ অনেকেই।
I do not even know how I ended up here but I thought this post was great I dont know who you are but definitely youre going to a famous blogger if you arent already Cheers