# জেলা প্রশাসন চায় স্থায়ী সমাধান
মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
রাস্তায় থাকা ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুরা বড় হয়ে লিপ্ত হয় শ্রমজীবি পেশাসহ নানা কাজে। আবার অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে যায় বা খারপ জগতে চলে যায়। কিন্তু নারী পথশিশু বড় হয়ে কি হয়? এই সমাজের কিছু নোংরা মানুষ তাদেরকে জোর করে যৌন কর্মের সাথে লিপ্ত করে। আর তারা এই অপকর্মের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে। তারা যতই বড় হতে থাকে তাদের জীবন ততই অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সাথে ধ্বংস হতে থাকে তাদের ভবিষ্যৎ। এমন ধ্বংস থেকে বাচাঁতে কক্সবাজারের ছিন্নমূল পথশিশুদের জন্য নিরাপদ থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সাথে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান মৌখিকভাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) ইয়ামিন হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।গত সোমবার বিকালে ট্যুর অপারের্টস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসককে ফুল দিতে আসলে এসময় পথশিশুদের কথা উঠে আসে ।
এসময় নুরুল কবির পাশা জানান, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এখন পথশিশুদের চলা দায় হয়ে পড়েছে । এই পথশিশুরা পর্যটকদের হয়রানি করছে। এমনকি গায়েও হাত দিয়ে থাকে। কোন কিছু পেলে তা নিয়ে যায়। এবং তার প্রতিনিয়ত মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। আশা করছি জেলা প্রশাসন এব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিবেন।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে , এই পথশিশুদেও জন্য আন্নর্তজাতিক সংস্থা ইউনিসেফ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে । তাদের জন্য শেল্টার হোম করা হবে।
এদিকে একটি পথশিশু জরিপ ২০২২ এর প্রতিবেদন কাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে বলা হয়, ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ পথশিশু বাবা মায়ের আবাসন পরিবর্তনের কারণে ঘর ছেড়েছে। সাত হাজার দুইশ পথশিশুর ওপর করা এই জরিপে দেখা যায়, কাজ খুঁজতে গিয়ে ১২ দশমিক ১ শতাংশ পথশিশু ঘর ছেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অভিভাবকহীন পথশিশু ৫ শতাংশ। যেখানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
পথশিশুদের নিয়ে আমরা কক্সবাজারবাসীর মূখপত্র নাজিম উদ্দিন জানান, যদি পর্যটন এলাকায় অবস্থানরত পথশিশুদের কোন ব্যবস্থা করা না হয় তবে ভবিষ্যতে চুরি ছিনতাই বেড়ে যাবে । তারা যত বড় হচ্ছে দিন দিন তাদের ভয়ানক চেহারা নজরে আসছে। আশা করছি প্রশাসন ভাল উদ্যোগ নিবে।
এদিকে কক্সবাজারের দৈনিক খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি মোঃ নেজাম উদ্দিন বেশ কয়েকবার পথশিশু নিয়ে তার নিজস্ব ফেইজবুক ওয়ালে মন্তব্য লিখলেও তাও জেলা প্রশাসন নজওে রেখে এব্যবস্থা করছেন বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম এর সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, এই ছিন্নমূল পথশিশুরা আমাদেরই একজন । তাদের সঠিকভাবে রেখে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। যদি তাদেরঅবহেলা করি তবে তারা পর্যটন এলাকার জন্য হুমকি হিসাবে দাড়াবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান জানান, এই পথশিশুরা যেন পথে থাকতে না হয় সে ব্যবস্থা করা হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে তাদের পূর্ণবাসন করা হবে। এই পথশিশুদের মাঝে যদি রোহিঙ্গা থাকে তবে তাদেও সনাক্ত করেক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আশা করছি শীগ্রই এই ছিন্নমূল শিশুদের জন্য ভাল একটা ব্যবস্থা করতে পারবো ।
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৩১
পরের খবর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.