চন্দ্রঘোনায় হত্যা চেষ্টা ও হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন

আটক ২জন

কাপ্তাই প্রতিনিধি,

রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর অভিযানে দীর্ঘ ১০ দিনের চেষ্টায় দুর্গম রাইখালীর ডংনালা থেকে হত্যাচেষ্টা মামলার ঘাতক আসামী মুংসুইচিং মারমা ও তার ভাই আবুসী মারমা কে আটক করা হয়েছে। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং ওসি (তদন্ত) ইসতিয়াকের নেতৃত্বে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।

ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান , চন্দ্রঘোনা থানাধীন পূর্ব কোদালা এলাকায় গত ১৪ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বান্দরবান জেলার রাজবিলার বাসিন্দা চিংনুমং মারমা প্রকাশ মংওয়াচিং মারমা (২৭) নামের এক ব্যাক্তি রাইখালীর পূর্ব কোদালায় তাঁর এক বন্ধুর বাড়ীতে বেড়াতে আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁকে বেধম মারধর করে অত্র থানাধীন রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোদালার বাসিন্দা মংসুইচিং মারমা, মংসাথোয়াই মারমা সহ আরো ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি।
এক পর্যায়ে মংসুইচিং মারমা একটি দা নিয়ে চিংনুমং এর ডানহাতের কব্জি পর্যন্ত কোপ দিয়ে কেটে ফেলে। শুধু তাই নয়, তাঁরা ঐ ব্যক্তির হাত পা ধরে রাখে, এক পর্যায়ে শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চিংনুমং রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়লে আসামীরা তাকে চন্দ্রঘোনা- বাংগালহালিয়া সড়কের পাশে অবস্হিত সাহাবুদ্দিনের বাগানের পাশে রাস্তা ধারে ফেলে চলে যায়।

চন্দ্রঘোনা থান পুলিশ গুরুত্বর আহত হওয়া চিংনুমং মারমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতাল পরে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাটি চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানোর পর তাঁর দিক নির্দেশনায় ও সার্বিক সহযোগিতায়। আহত ব্যাক্তিকে চট্রগ্রাম মেডিকেলে নিজ খরচে চিকিৎসা করছে। এদিকে সংবাদটি প্রচারিত হওয়া পর্যন্ত এখনো গুরুত্বর আহত হওয়া চিংনু মারমার কোন আত্মীয় খবর নিতে আসেনি বলে ওসি উল্লেখ করেন।

এদিকে গুরুত্বর জখম হওয়া চিংনু মারমার হাতের সফল অপারেশন এর পর সে কিছুটা সুস্থ হলে এঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে একটি মামলা চন্দ্রঘোনা থানায় রুজু করা হলে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে ঘাতক দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.