মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পারিবারিক কলহের জের ধরে জয়গন বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত স্বামীর নাম মুক্তার সরদার(৪৫)।তার পিতার নাম ইসলাম সরদার।
মৃত জয়গনের এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী । ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে।
বুধবার(৩০জুন) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আংকের শেখের গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জয়গন বেগম গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়া গ্রামের জয়নউদ্দিন মিস্ত্রীরের মেয়ে।
জয়নদ্দিন মিস্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জামাই আমার মেয়েকে মাঝে মাঝেই মারপিট করত। কয়েকদিন আগে সে আমার মেয়েকে মেরে জখম করে আমার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আমি চিকিৎসা করে ভাল করেছিলাম । তারপরে জামাই এসে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়।
কিছুদিন না যেতেই আবার বুধবার হঠাৎ করে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান।তার কিছুক্ষণ পর মুক্তার নামের একজন আমাকে ফোন দিয়ে বলে, যত টাকা লাগে ওর চিকিৎসা করান। টাকা আমরা দেব। আপনি দ্রুত হাসপাতালে যান। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে।ওরা বলছে আমার মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সে বিষ খায় নাই। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।আমার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলছে ।আমি সঠিক বিচারের মাধ্যমে ওদের ফঁসি চাই।
মুক্তারের বোন আছমা বেগম জানান,মুক্তার নিজেই তার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছে। পাশের বাড়ীর এক লোক আমাকে জানান, তোমার ভাই তার বউকে ধরে মারছে। আমি দ্রুত বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাই ভাবীর বুকের উপরে বসা।সে তার হাত দিয়ে ভাবির গলা টিপে ধরে রেখেছে। আমাকে দেখে আমার ভাই দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।আমি কাছে গিয়ে দেখি ভাবির মুখ দিয়ে ফুপরী উঠছে। আমরা তারাতারি করে তাকে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার দেখার পর বলেন সে মারা গেছে । সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে নাই।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা তারা মেয়েকে হত্যার বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.