নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আদালতের রায় ও সামাজিক বৈঠক না মেনে মরহুম ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হাকিমের ক্রয়ক্রত জমি ওয়ারিশদের দখলে থাকায় চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ার কারণে জমির ওয়ারিশকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রায় ৩যুগের অধিক দখলে থাকা জমি জবর দখল করেছে জৈবর মুল্লুকের ছেলে জাফর আলম তার ছোট ভাই নবী হোসন মিন্টু ও তাদের দুই ভাইয়ের সন্তারেরা । ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ২নং ইউনিয়নের মরিচ্যাচর গ্রামে।
জানা যায়, ৭০ দশক থেকে শুরু করে আরএস ১৮৯ ও বর্তমানে বিএস ৭৯৫ খতিয়ানের প্রায় ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে ছিল মরহুম ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হাকিমের ওয়ারিশগণ । পরবর্তীতে জৈবর মূল্লুকের ও তার ওয়ারিশগন জুমছড়ি এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদকে সমস্ত জমি বিক্রি করে দেয় বলে জানা যায় । পরে ছৈয়দ আহমদ বাদী হয়ে জমি পেতে কক্সবাজারের রামু সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে । যার মামলা নং ৫২/২০০৩ ।পরে ২০০৩ সালে আদালতের রায় হয়। এতে ছৈয়দ আহমদকে বিএস ৭৯৫ খতিয়ানের ৩৫৯০, ৩৫৯১,৩৫৯২, ৩৫৯৩,সহ বেশ কয়েকটি দাগে বাদী ছৈয়দ আহমদকে দখলে না যেতে স্পস্ট মানা করা হয় । পরবর্তীতে আদালতের রায় মান্য করে তারা কোন ধরনের জমি সংক্রন্ত বিষয় নিয়ে আক্ষে না করলেও সম্প্রতি নবী হোসন মিন্ট মরহুম ইহ্জিনিয়ার নুরুল হাকিমের ছেলে মো. নেজামউদ্দিনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে করে বলে জানা যায় । নেজাম উদ্দিন চাাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নবী হোসেন মিন্টুর পাশে থাকা প্রায় ৪শতক জমি জবর দখল করে গত বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর) জমিচাষ করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নেজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিগত ৩যুগ ধরে এই জমি ভোগ দখল করে আসছিল আমার পরিবার । আমার বাবা মারা যাওয়ার পর জমিজমা আমি দেখাশোনা করছি । এই নবী হোসেনের দুই ছেলে ও জাফর আলমের এক ছেলেসহ আমাকে আমি না থাকা অবস্থায় আমার ভোগদখলকৃত জমি জবর দখল করে চাষ করে ফেলেছে আমি আইনের সাহায্য কামনা করছি। এদিকে মরিচ্যাচর গ্রামের মোজাম্মেল জানান,আমি যতটুকু জানি এই জমি নেজামের পরিবার প্রায় বেশ কয়েক যুগ ধরে বোগ দখল করে আসছে । হঠ্যাৎ এই নবী হোসেন মিন্টু ও তার ভাই জাফর আলম ও তাদের দুই ভাইয়ের সন্তান সাদেক জাহেদ উল্লাহ ও লোকমানসহ তারা এই জমিতে চাষ শুরু করে দিয়েছে । বিষয়টি দুঃখজনক।
মোঃ জাহেদ প্রকাশ আঙ্গুর জানান, এই জমি নিয়ে বির্তক শুরু হলে সামজিক বৈঠকের মাধ্যমে আমাকে ৩য় পক্ষ হিসাবে জমি দেখার দায়িত্ব দেন সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আলম মেম্বার। কিন্তু তারা আমার কথা না মেনে জমি চাষ করা শুরু করে দিয়েছে । এভাবে সমাজে অরাজকতা তৈরি হলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আশা করছি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখবে।
এ ব্যাপারে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমন কান্তি চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান , এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:০৪
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.