নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সামনে কোরবানির ঈদ তাই পশু বেচাকেনা করতে হাট বসবে কক্সবাজার – চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে।
আর এটি নিয়ন্ত্রণ করবে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। সব কিছু ঠিকটাক থাকলে আগামীকাল থেকে পশু বেচাকেনা শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বলছিলাম কক্সবাজার সদর উপজেলা খরুলিয়া বাজারের কথা।সামনের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কের পাশে প্যান্ডেল করে তৈরি করা হচ্ছে গরুর বাজার৷ আর তাতে বিন্দু মাত্র মাথা ব্যথা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আর তা নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খরুলিয়া গরুর বাজার বর্তমানে যেখানে করা হচ্ছে সেটি কক্সবাজার – চট্রগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া। যদি এখানে বাজার করা হয় তবে ঈদের বাজার করতে আসা লাখো মানুষ জন দুর্ভোগের শিকার হবে।
খরুলিয়া বাজারের দোকানদার মিজান জানান, আমি এখানে ব্যবসা করছি বহু বছর ধরে কোরবানি ঈদের পশুর বাজার মহা সড়করে পাশে হওয়ার কারণে স্থানীয়দের যেমন চলাচল সমস্যা হয় তেমনি পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। স্থানীয় প্রশাসন যদি নজর দেন তবে এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র করলে জন দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করছি।
স্থানীয় সিরাজুল হক নিজামী জানান, বৃহত্তর খরুলিয়াতে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই সড়ক ব্যবহার করে আসছে। যদি এইভাবে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে গরুর বাজার করা হয় তবে শিক্ষার্থীদের যেমন চলাচল সমস্যা হবে তেমনি এলাকাবাসিরও চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব কাজের কলকব্জা নাড়ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ উত্তম চক্রবর্তী তার ইশারায় সব কিছু হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কিছু মানুষ।
জানা যায়, এখন খাস কালেকশন আদায়ের নামে চলছে ব্যাপক অর্থ লুটপাট। কালের পরিক্রমায় বাজার তিনটির মধ্যে কোনোটার ইজারা মুল্য ২কোটি টাকাও ছাড়িয়েছে। ফলে লোভাতুর দৃষ্টি পড়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের। এমনকি ষড়যন্ত্র করে অতি সুকৌশল খাটিয়ে বাজারের ইজারা যোগ্যতাও নস্যাত করা হয়েছে। এভাবে ইজারা যোগ্যতা নষ্ট করে ফেলায় বাজার তিনটি এখন উপজেলা প্রশাসনের হাতছাড়া হয়ে গেছে। অন্যদিকে নিয়ম অনুযায়ী এই বাজারগুলো এখন সদর ভ‚মি অফিসের অধীনে নাম মাত্র ম‚ল্যে খাস কালকেশন করে থাকে। বাকি বিপুল অংকের টাকা খাস আদায়ের নামে বাজার থেকে উত্তোলন করে নিজেদের পকেটে ভরে নিচ্ছে বাজার দখলকারী সিন্ডিকেট। আর এভাবে কৌশলে বাজার দখল করার বন্দোবস্ত করেছে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারী। জানা যায়- খাস আদায়ে ভুমি অফিসের লোকদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাদের হাতে নেই বাজারের ন্যুনতম নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারদলীয় ও বিএনপি জামায়াতের নেতারা মিলেমিশে একাকার হয়ে একটি সিন্ডিকেট করে তাদের পকেটে ঢুকিয়ে নিচ্ছে সরকারি রাজস্বের কোটি কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে খাস কালেকশনের টাকা সরকারি কোষাগারে যতসামান্যও জমা পড়ছে কীনা তা নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে সংশয়। অনুসন্ধানে জানা যায়,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ উত্তম চক্রবর্তী উক্ত সিন্ডিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। তিনিই মূলত বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে আইনে ফাঁকফোকর দিয়ে তিনটি বাজারের ইজারা যোগ্যতা নষ্ট করে নিজের পছন্দের মানুষদের দিয়ে বাজারগুলো থেকে খাস কালেকশনের নামে অর্থ আদায় করে লুটপাট করে যাচ্ছন। এর মধ্যে খরুলিয়া বাজারটি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও শরীফ মেম্বার।
মহাসড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে গরুর বাজার
কিভাবে করা হচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়ার সাথে কথা হলে তিনি এব্যাপারে অবগত নন বলে জানান,এবং যদি করা হয় তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে প্রতিবেদকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.