কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহার পর সারাদেশে চলছে ১৪দিনের লকডাউন। এই লকউডাউন গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়ে আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত থাকবে । তবে লকডাউনের চতুর্থ দিনে কক্সবাজার পৌর শহরে লকডাউন মানছে না সাধারণ মানুষ। শহরে ঢিলেঢালাভাবেই পার হচ্ছে করছে লকডাউনের চতুর্থ দিন।
প্রথমদিনে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের যাতায়াত একটু কম থাকলেও ৪দিনের মাথায় দেখা গেছে জনসমাগম ও যানবাহন বেড়ে গেছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন।। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজার জেলা শহরের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছে সাধারণ মানুষ । ২৬ জুলাই দেখা গেছে সকাল থেকেই শহরের চলছে ইজিবাইক, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন।
শহরের খুরুস্কুল রাস্তার মাথায় বিজিবির টহলরত টিম থাকলেও তাদের বিভিন্ন অজুহাতে চলাচল করছে ।এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ন এলাকা বাজারঘাটাসহ আশেপাশের মোড়ের দোকান-পাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এমনকি বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে দু-একজন বলেন, ‘মাস্ক পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়বেন!
এদিকে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে কক্সবাজার জেলায় ২১৩টি মামলায় মোট ১,৪৮,৫৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। রবিবার (২৫ জুলাই) সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। এদিন পৃথক ২৫টি অভিযানে ২৩৩ জনকে দন্ড দেয়া হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণাও হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজি মাহমুদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তথ্য মতে, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ৫৯ জন, সদর ৪০ জন, চকরিয়ায় ১৫ জন, পেকুয়ায় ২২ জন, কুতুবদিয়ায় ১২ জন, মহেশখালীতে ৩৭ জন, রামুতে ১৮ জন, উখিয়ায় ২৩ জন এবং টেকনাফে ৭ জনকে দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এদিকে, ঈদের পর থেকে কঠোর লকডাউনের কথা বলা হলেও তা মানতে সাধারণ মানুষের মাঝে অনীহা দেখা গেছে। গ্রামগঞ্জের চিত্র ঠিক আগের মতো। দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকলেও ছোটখাটো গাড়ি চলাচল চোখে পড়ার মতো।
তবে, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনের পক্ষ কড়াকড়ি অব্যাহত রয়েছে। যারা লকডাউনে মানছেনা তাদের মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হচ্ছে। পাশাপাশি সতর্কও করছে নিয়োজিত কর্তারা। উল্লেখ্য, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২২ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৩৭ জনকে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রথম দিনে ২৯টি অভিযানে ১৩৬ জনকে মোট ৬৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট।
জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, এলাকার মানুষকে সচেতন করতে সার্বক্ষনিক জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে । করোনকালিন এই কঠিন সময়ে আমাদের সকলের উচিৎ সচেতন থাকা । আশা করছি আমরা এই করোনাক্লান্তিকাল কেটে উঠতে পারবো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.