মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
হঠাৎ করে কক্সবাজারে অস্ত্র ও অস্ত্রধারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে জানা গেছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মূল পর্যটন এলাকা সুগন্ধা পয়েন্ট ও কক্সবাজার শহরের পাশে খুরুশকুল সড়ক থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের আটক করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ। কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সকাল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকত এলাকা সুগন্ধা পয়েন্ট ঝাউবাগান থেকে দেশীয় তৈরী ৪টি বন্দুক ও ২ টি ৭.৬ বোরের রাইফেলের গুলিসহ দুই যুবককে আটক করে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা উত্তর ঘোনারপাড়ার মো. জকরিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন ফয়সাল (৩৪) এবং ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা এলাকার মো. আবুল কালামের ছেলে মো. আরমান হোসেন (৩৪)।
একইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে খুরুশকুল ইউনিয়নের খুরুশকুল সড়কে জাহাঙ্গীর কাসেরে মাছে৷ প্রজেক্টের পাশে দাড়িয়ে থাকা সিএনজি তল্লাসি করলে ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ সহ দুইজন অস্ত্রধারী আটক করে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন সিএনজি চালক- বজল কবির এর ছেলে আঃ রহিম প্রঃ ইলিয়াস(৩৮) ও মৃত মোজাম্মেল হক ছেলে মোঃ ওসমান(৫৪)। আটককৃত দুজনই কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়নে দক্ষিণ মুহুরী পাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা। অস্ত্র উদ্ধার ও আটককৃতদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান সকালের অস্ত্রসহ আটক দুজনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন , সোমবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন ঝাউবাগান এলাকায় কতিপয় লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্দেহজনক দুইজন যুবক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে আটকদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় দেশী তৈরী ৪ টি বন্দুক ও ২ টি ৭.৬ বোরের রাইফেলের গুলি। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে ঘটনাস্থলের কিছু দূরে রাখা তাদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
ওসি জানান, অস্ত্রগুলো কোথায় থেকে সংগ্রহ করেছে এবং কোথায় পাচার করছিল তা জানতে পুলিশ কাজ করছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন বের করা সম্ভব হবে।তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, সন্ত্রাস দমন ও সমাজ তথা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সবসময় কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল পৃথক দুটি অভিযানে অস্ত্রসহ অস্ত্রধারীদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
1news/ najam.
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.