কক্সবাজারে এখনো ৩৭ শতাংশ বন রয়েছে – প্রধান বন সংরক্ষক

মোঃ নেজাম উদ্দিন,

কক্সবাজারবাসির জন্য আনন্দের খবর এই জেলায় এখনো ৩৭% বন রয়েছে। বন রক্ষায় বনবিভাগের কর্মীরা আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু বন বিভাগ নয়, তাদের সাথে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি মনে করি বনায়ন রক্ষায় আপনারা বনবিভাগের পাশে থাকবেন। আমরা বনায়নের কাজ শুরু করেছি, আমরা চেষ্টা করছি বিদেশি কোন গাছ না লাগিয়ে হারিয়ে যাওয়া গর্জন, চাপালিশ, অর্জুন, ইত্যাদি গাছ রোপণ করে বনায়ন করার। বন পুনরুদ্ধার এবং সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সাংবাদিকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।


বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের কলাতলীর তারকা মানের একটি হোটেল কনফারেন্স হলরুমে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অধিনে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুফল প্রকল্পের ডাইরেক্ট গোবিন্দ রায়, বনবিভাগের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান বিপুল কৃষ্ণ দাশ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি ডঃ ইশতিয়াক সোবহান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার,
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার, কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান।

চট্রগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান বিপুল কৃষ্ণ দাশ বলেন, বন বিভাগ কক্সবাজারবাসির জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। শুধু কক্সবাজার জেলায় সুফল প্রকল্পের ১০ কোটি টাকা সাধারণ মানুষের হাতে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের আর্থিক ভাবে সচ্ছল করার জন্য সুফল প্রকল্পে আমাদের সকলের সহযোগিতা দরকার।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের মুকিব মজুমদার বলেন, বনরক্ষায় শুধু বনবিভাগ করবে তা নয় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যার একটি বড় মাধ্যম গণমাধ্যম কর্মীরা। আপনারা যদি প্রতিটি ঘটনা তুলে ধরেন তবে বনবিভাগ অনেকাংশে সহায়ক হবে।

পরিবেশ বিজ্ঞানী ডক্টর ইশতিয়াক সোবহান বলেন, মানুষকে দরিদ্র রেখে বনরক্ষা করা যাবেনা।
তাই এই বনায়নের মাধ্যমে তাদের আর্থসামাজিক উন্নত করতে হবে। যদি সমাজের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হয় তবে সুফলের বাগান রক্ষা করা সম্ভব।
পরে অংশগ্রহণকারি সাংবাদিকদের সাংবাকতা নিয়ে বিশেষ ক্লাশ নেন পিআইবি প্রশিক্ষক মাশরুব জামান। সাংবাদিকতা বিষয়ক আলোচনা করেন।সাংবাদিকদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা বিকাল পর্যন্ত চলমান থাকবে।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় কর্মশালায় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.