কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একদিনে ৫টি করাতকল সীলগালা করেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ।উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ ও উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম এ অভিযানের নেতৃত্বে দেন । রবিবার( ১২ ফ্রেরুয়ারি) উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ ৫টি করাতকল সীলগালা করা হয় ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গাতে এইসব অবৈধ করাতকল স্থাপন করে তারা গাছ নিধন করে আসছিল। বরিবার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ওয়ালাপালং বিটের টাইপালং এলাকা থেকে ২ টি অবৈধ স’মিল এবং থাইংখালী বিটের পালংখালী এলাকা হইতে ২টি অবৈধ স’মিল এবং মোছারখোলা বিটের এলাকা হইতে ১টি অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করা হয়।
এই তিন জায়গা থেকে মোট ৫টি স’মিল ও আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও ৫০ ঘনফুট বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ জব্দ করে উখিয়া রেঞ্জের সরকারী হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান। সমিলের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, নিয়মিত টহল চলাকালে করাতকল গুলো নজরে আসে । প্রত্যেকটির করাত কলের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা কোন ধরনের কাগজ আমাদের দেখাতে পারেনি। তাই আমরা আজকে ৫টি করাতকল সীলগালা করে দিয়েছি। এবং করাতকলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তামোঃ সরওয়ার আলম জানান, আজকে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৫টি অবৈধ করাতকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই অবৈধ করাতকল থাকবে না । যারা অবৈধ করাতকল বসিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ২১২টি করাতকলে উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বনাঞ্চলের আশপাশে অবৈধভাবে এসব করাতকল স্থাপন করা হলেও তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২১২টি করাতকলের রয়েছে তার মধ্যে চকরিয়ায় ৩৯, পেকুয়ায় ১৮, সদর উপজেলায় ৩৩, টেকনাফে ২২, রামুতে ২৬, কুতুবদিয়ায় ১৩, মহেশখালীতে ২১ ও উখিয়ায় ৪০টি রয়েছে। এসব করাতকলের কোনোটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ১৭টি করাতকলের বন বিভাগের লাইসেন্স থাকলেও ইতিমধ্যে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।। বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে করাতকল স্থাপন না করার নিয়ম থাকলেও ৯০ শতাংশ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে বনাঞ্চলের আশপাশে।
সাধারণ মানুষ মনে করঠে এভাবে যদি অবৈধ স’মলিগুলো বন্ধ করা হয় তবে সামাজিক বনায়ন ও বন রক্ষা পাবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.