ঈদগাও মেহেরঘোনা লালুম্মার থলি সড়কের বেহাল দশাঃ দ্রুত সংস্কার দাবী

 মোঃ মিছবাহ উদ্দিন

কক্সবাজার সদরের ঈদগাও মেহেরঘোনা লালুম্মার থলি সড়কের বেহাল দশা অথচ দেখার কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বিহীন পড়ে থাকায় খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে সড়কটি। সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, সম্পূর্ণ হাঠাচলার অনুপযোগী এ সড়কটি যেন মরণফাদ! স্থানীদের মতে এ সড়কদিয়ে প্রায় ৫০/৬০ বছর ধরে মানুষ হাঠাচলা করে আসছে। যেটা হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করার একমাত্র রাস্থা। কিন্তু যুগের পর যুগ পার হলেও রাস্থাটি সংস্কার না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী, রুগী, বয়োবৃদ্ধ লোকজনসহ মুসল্লিদের হাঠাচলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণ না করাই স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্থাটি দ্রুত সংস্কার করে হাঠাচলার উপযোগী করে তুলার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দুবাই প্রবাসী সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে এ রাস্থাটি ভালোভাবে সংস্কার করা হয়নি, এমনকি দেশ এগিয়ে গেলেও জনবহুল এলাকার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ২০ বছর আগে সংস্কার হওয়ার কথা অথচ এখনো ব্রিক সলিন দিয়েও উন্নীত না হওয়ায় আমারা হতাশ। কলেজে পড়ুয়া ছাত্র আলমগীর জানান, এ রাস্থাদিয়ে বর্ষা মৌসুমে স্কুল-কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়। তাছাড়াও বর্ষার পাণিতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় রাত্রে যাতায়াত অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। স্থানীয় মুরব্বি আবু তাহের জানান, এ রোড দিয়ে একসময় বড় বড় ট্রাক যাতায়াত করত কিন্তু অনেকদিন পর রাস্থাটি আরো উন্নত মানের হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রায় হাঠাচলার অনুপযোগী হওয়াটা অত্যান্ত দুঃখজনক! এমনকি পবিত্র রমজান মাসে নামাজ পড়তে যেতেও কষ্ট হচ্ছে আমাদের। স্থানীয় মহিলা মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক তবে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে, রাস্থাটির সংস্কারকাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হবে। ঈদগাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বলেন, এ রাস্তার কাজ টেন্ডার হয়েছে, আগামী এক সাপ্তার ভিতরে সংস্কারকাজ শুরু হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.