আবারো প্রাণ ফিরেছে দপ্তরের

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ

মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বেশ কিছুদিন কোন অভিযান না থাকলেও বর্তমান শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মুনিরুজ্জামন আসার পর অনেকটা প্রাণ ফিরেছে এই দপ্তরের। আর তা বনখেকোদের আতঙ্কের নাম হয়ে দাড়িয়েছে অনেকটা । বিগত দিনে এই পদে সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা ই এলাহী থাকাকালিন নিয়মিত অভিযান চলমান থাকলেও মাঝখানে স্থবির হয়ে পড়ে । এখন তা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে মনে করছেন অনেক পরিবেশ প্রেমীরা।

# দুদিনে ৫টি ডাম্পার একটি স্কেবেটর জব্দ
# আটক হয়েছে একজন
# অভিযান চলমান থাকবে

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিশেষ টহল দলের অভিযানে গত দুদিনে ৫টি ডাম্পার একটি স্কেবেটর ওএকজন বালুখেকোকে আটক করা হয়েছে।
প্রথমে ৫ এপ্রিল ( বুধবার) কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মেহেরাজ উদ্দিন এবং ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন আহমেদের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ফুলছড়ি রেঞ্জের ফকিরাবাজার এলাকা থেকে পাহাড়ি বালি ভর্তি ১ টি ডাম্পার, ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বিটের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় পাহাড়ি মাটি কেটে পাচারকালে পাচারের সাথে জড়িত একজন আসামিসহ ১ টি স্কাবেটর এবং ১ টি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। অভিযানে স্পেশাল টিম,ফুলছড়ি ও ফাঁসিয়াখালী স্টাফগণ অংশ গ্রহণ করেন। এর একদিন পর বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বালি ভর্তি ২ টি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করে (০৭ এপ্রিল) ভোর ৫টায় কক্সবাজার শহরের বাংলা বাজার এলাকা হতে ডাম্পার ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।

স্পেশাল টিমের ওসি ও শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান সুমন বলেন, পাহাড়ি মাটি ও বালি পাচারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ৩ টি ডাম্পার ও একটি স্কাবেটর আটক পূর্বক ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে । এদিকে সাঁড়াশি অভিযানে পাহাড়ি বালি ভর্তি ডাম্পার, বিবিধ,জ্বালানি ভর্তি ডাম্পার ও ফার্নিচার ভর্তি মিনি পিকআপ সহ মোট ৩ টি গাড়ি আটক করা হয়। ঠিক একদিন পর (শুক্রবার) ভোর ৫টায় কক্সবাজার শহরের বাংলা বাজার এলাকা হতে বালি ভর্তি ২ টি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়েছে । সংশ্লিষ্ট আসামি ও জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বনজসম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন।বনবিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বনবিভাগের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে । অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি,বালি ও কাঠ পাচার রোধে বনবিভাগের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

 

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.