আইসোলোশন ওয়ার্ড হচ্ছে যশোরের জনতা হসপিটাল

ইয়ানূর রহমান : যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে। করোনা রোগীর চাপ বাড়ার কারণে জায়গা সংকটে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ রোগীকে রাখা হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়। সংকট থেকে মুক্তি পেতে বাড়ানো হচ্ছে করোনা আইসোলোশন ওয়ার্ড। শহরের জেলগেট এলাকার জনতা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডকে করোনা আইসোলোশন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হবে।

বৃহস্পতিবার হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ সায়েমুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা।যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর অতিরিক্ত চাপ। যার প্রভাব সাধারণ রোগীদের মধ্যে পড়তে পারে। যার ফলে আমারা ওয়ার্ড বাড়িয়ে হাসপাতালের চাপ কমানোর চেষ্টা করছি। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত।

জনতা হসপিটাল এন্ড ডায়াগণস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আফজাল হোসন বাবু বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করি মানুষের সেবা করার জন্য। যশোরের এই ক্রান্তিকালে আমরা যে এই উদ্যোগ নিতে পেরেছি এটা আমাদের প্রাপ্তি। আমরা মানুষের সেবা করতে চাই সেকারণে প্রশাসনের প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই রাজি হয়ে গেছি।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ অনেক। এখন হাসপাতালে ওয়ার্ড বাড়ানো সম্ভব না। সেকারনে একটি বেসরকারি হাসপাতালের খোঁজ করছিলাম। আমরা হাসপাতালটি দেখলাম, পছন্দ হয়েছে। আমরা প্রয়োজন মতো হাসপাতালটি ব্যবহার করা হবে।জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোরে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। যার ফলে আমরা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। এখন হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় আরো ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে। এসময় জনতা হাসপাতাল আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.