নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিএমখালীতে বনভুমি দখলের যেন মহোৎসব চলছে যে যার মতো করে পিএমখালী রেঞ্জে বনভুমি দখল করে বসতবাড়ি পাহাড়কাটা , বালি উত্তোলনসহ ভমি দখলের সাথে জড়িত আছে স্থানীয় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যার কারনে রেঞ্জের এক তৃতীয়াংশ বনভুমি অবৈধ দখলে রয়েছে । সরকারিভাবে কোন পদক্ষেপ নিয়ে উল্টো প্রশাসনিক কর্মর্তাকে হয়রানির করছে বলেও অভিযোগ উঠে। কক্সবাজারের পিএমখালিতে বনবিভাগের জমি অধিকাংশ বনভুমি অবৈধ দখলে নিয়ে নিয়মিত পাহাড় কাটা বালি বেচা কেনা করছে স্থানীয় বনদস্যূরা । বনভুমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনকে উল্টো হয়রানি করছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় কক্সবাজার জেলা পরিষদ এর সদস্যের বড়ভাই মামুনের ডাম্পার গাড়ি মাটি ভর্তি আটক করার পর পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রাণ নাশের হুমকী ও রেঞ্জ থেকে বদলী করতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে এমনটা জানা গেছে। পাহাড়কাটা বালি বিক্রিসহ বনভুমি অবৈধ দখলে নিতে স্থানীয় আমিন চেয়ারম্যানর এর ছেলে জুসেফ, ওবাইদুল হক ও জিয়াবুল নামের কয়েকজন কাজ করছে বলে জানা যায় । ওবাইদুলের ১০টি বন মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি কাজে যেমন ব্যবহার হয়েছে বনভুমি ঠিক তেমনি বহু বছর ধরে বনভুমি দখল করে বসত ভিটা করে বসবাস করছে স্থানীয়রা। এই বনভুমি থেকে বনবিভাগ উচ্ছেদের জন্য গেলে উল্টো তাদেও উপর হামরা কওে উচ্ছেদ যেন করতে না পারে নিয়মিত বনবিভাগের কর্মীদের ভয় দেখিযে আসছে। জানা গেছে এই বনভূম দখলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিত্তশালী থেকে শুরু কওে সরকার দলীয় অরেক নেতা জড়িত রয়েছে। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে পিএমখালী রেঞ্জের ৪টি বিট রয়েছে তাহলো পিএমখালী বিট, দিঘীঘোনা বিট, শুরুশকুল বিটও তুতোকখালী বিট মিলে মোট ২৫৭৯.৬৫ একর বনভূমি থাকলেও সেখান থেকে অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে ১৩৬১.৭৯ একর। যেখানে জবরদখল কারিরা ঘরবসতি করে অবস্থান করছে ৩৪৮৪টি পরিবার । অন্যদিকে সরকারিভাবে সরকার কর্তৃক কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার মানুষদের পূর্ণবাসনের কথা বলা হলে সরকারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বনভুমি থেকে ৬০ একর জমির উপর পূর্ণবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ও মুজিববর্ষের ঘরের জন্য বনভুমির জায়গা থেকে আরো ৫০ একর জমি দখল করে জেলাপ্রশাসন । সব মিলিযে পিএমখালীর এক তৃতীয়াংশ বনভুমি দখলে চলে যাওয়ার কারণে এখন সেখানে বন নেই । অন্যদিকে বর্তমান রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার আসার পর বেশ কিছু বনভুমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করে ২০২১-২০২২ সালে স্বল্প মেয়াদী ১১০ হেক্টও বাগান করেছে বওে জানা যায়।
# ৪টি বিটে ২৫৭৯.৬৫ একর বনভূমি
# অবৈধ দখলে চলে গেছে ১৪১১.৭৯ একর
# অবৈধ দখলদার ৩৪৮৪ জন
# জেলা প্রশাসনের দখলে ১১০ একর
পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, আমি এখানে এসেছি গত বছরের ফ্রেরুয়ারীর ১৮ তারিখ। এর আগে এই রেঞ্জ থেকে একটি জবরদখলকারিদের প্রতিবেদন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর প্রদান করা হয় যেখানে বরা হয়েচে প্রায় ১৩৬১.৭৯ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এবং দখলদার রয়েছে প্রায় ৩৪৮৪ জন । আমি তাদেও বিভাগীয় কর্মকর্তার পরামর্শ মতে উপজেরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি । এবং যারা অবৈধ দখলে রংেয়ছে তারা যেন পাহাড় কাটতে না পাওে সেদিকে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। আমি আসার পর ভুমিদস্যূদের বিরোদ্ধে ৭৪টি বন মামলা করেছি। গত বছর থেকে এই পর্যন্ত মোট ১৬টি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। তাদের বিরোদ্ধে মামলা করার কারণে আমাকে সরিয়ে দিতে নানান ভাবে আমকে হয়রানি করছে এমনকি আমার প্রাণ নাশের ভয় রয়েছে।
এদিকে পিএমখালীসহ কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাটার দাযে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর তাতে জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল হক মাদু ও তার ভাই মামুনসহ ১৯ জনের নামে প্রতিবেদন দিয়েছে বলে জানা গেছে।অন্যদিকে পাহাড় কাটার বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও ওবাইদুল করিম আব্দুলাহ,হেলাল উদ্দিন, নাসির উদ্দিন রুনোকে বাদ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অন্যদিকে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, গাছ কাটা, বালি উত্তোলন, বনভূমি দখল, বিক্রি, পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি নির্মাণ, বনের গাছ পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। গত এক বছরে আনুমানিক ১০০ একর বনভূমি অবৈধভাবে বেদখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কেটে শেষ করা হয়েছে অন্তত ৪০টি পাহাড়। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের পিএমখালী রেঞ্জের ৪টি বন বিটের বনজ সম্পদের উপর এমন অপরাধ চলছে। খোদ পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল জব্বারের সাথে অপরাধীদের যোগসাজশে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে । তবে তা উদ্দেশ্য প্রণীত বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.