মোঃ নেজাম উদ্দিন,
অবৈধভাবে বালি তুলতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড্রেজার মেশিন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বালি উত্তোলনকারি তোরাব আলী । তিনি প্রতিবেদককে জানান, এখানে যা বালি উত্তোলন হচ্ছে তা ইউএনও ম্যাড়াম ব্যবহার করছে মুজিববর্ষের ঘরের জন্য । তিনি আমাকে আগে একটি ড্রেজার মেশিন দিয়েছিল সেটি খারাপ হয়ে গেলে আরেকটি ড্রেজার মেশিন দেয় । তা দিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে এতে মআমার কোন দোষ নেই ।
কক্সবাজারের রামুর রশিদ নগরের গ্যারেজ এলাকায় পাহাড় কেটে বালি নেওয়া হচ্ছে মুজিববর্ষের ঘরের কাজের জন্য তাই একটি ব্যানারে লেখা হয়েছে ”মুজিববর্ষের ঘরের কাজের জন্য এই বালি সংরক্ষণ করা হচ্ছে এখানে কোন ব্যবসায়িক উদ্দ্যেশ্য জড়িত নয়, দয়া করে বিনা অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করবেন না -অনুরোধক্রমে কৃর্তপক্ষ” তবে এখানে কোন কর্তৃপক্ষ তা উল্লেখ করেনি যারা পাহাড় কাটছে তারা।
# কাটা হয়েছে পাহাড়
# বনবিভাগ নিরব
# উপজেলা প্রশাসনের ইন্ধনে কেটেছে পাহাড়
# ড্রেজার মেশিন দিয়েছে ইউএনও
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য পাওয়া যায়, স্থানীয় এক বালুখেকোর সাথে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আতত করে গ্যারেজ এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালি তুলে আসছিল এবং সেখানে বড় বড় কয়েকটি পাহাড় কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গাড়ি বালির বিক্রির টাকা অর্ধেক চলে যেত রামু উপজেলা প্রশাসনের হাতে । আর তা রামু উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি চালক পিয়াসের হাত দিয়ে গেছে বলে জানা গেছে । কিছু বালি মুজিববর্ষের ঘরের কাজে ব্যবহার হলেও অধিকাংশ বালি বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, এই গ্যারেজ এলাকা থেকে কোন ধরনের বলি মুজিববর্ষের ঘরের জন্য ব্যবহার হয়নি । স্থানীয় গোলাম হোসেন এর ছেলে তোরাব আলীর একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট এখান থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করেছে বিভিন্ন জায়গায়। এই তোরাফ আলী বেশ কয়েকটা পাহাড় কেটে বালি নিয়ে গেছে ।
এখন পানি না থাকার কারণে বালি উত্তোলন বন্ধ রেখেছে তারা ।
তোরাব আলীর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, যেখান থেকে বালি উত্তোলন করেছি তা ই্উএনও স্যারে কথা মতো করেছি। যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে আমি বারি উত্তোলন করেছি তা ইউএনও স্যার নিজেই দিয়েছেন। রামুতে যত মুজিববর্ষেও ঘর তৈরি হয়েছে তা এখান থেকে বালি নেওয়া হয়েছে । এখানে আমার কোন হাত নেই ।
মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমান জানান,গ্যারাজ এলাকার যেখান থেকে বালি উত্তেলন করা হয়েছে তা বনবিভাগের জায়গা নয় । এটি খাস খতিয়ানের জায়গা হওয়ার কারণে সেখান থেকে মুজিববর্ষের জন্য বালি তুলা হয়েছে । তবে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেভাবে জড়িত নন। যারা মুজিববর্ষের ঘর তৈরির কাজে ঠিকাদার হিসাবে রয়েছে তারা মূলত এইখান থেকে বালি উত্তোলন করেছিল। বনবিভাগ কিছুদিন আগে সেখান থেকে একটি বালি তুলার মেশিন জব্দ করেছিল।
রামু উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি চালক পিয়াস বড়–য়া জানান, আমাকে দিয়ে কোন ধরনের টাকা লেনদেন হয়নি, তবে সেখান থেকে ইউএনও স্যারে কথায় মুজিববর্ষের জন্য বালি আনা হয়েছে হয়তো । তিনি আরো বলেন , আমি এখন দায়িত্বে নেই । এখন ইউএনও ম্যাডাম দায়িত্ব দিয়েছে সিএ নুর হোসনকে। আমি কোন টাকা পয়সা লেনদেনের সাথে জড়িত নই।
পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফার কাছে জানতে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এর পর মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার কোন জবাব মেলেনি ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.