অবশেষে পেকুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

রেজাউল করিম,পেকুয়াঃ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ধর্ষণের অপমানে রেখামনি (১৫) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় পেকুয়া থানায় প্রথমদিকে অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড হলেও পরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তের প্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা রুজু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭জুলাই) নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় কথিত প্রেমিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনা মামালা রুজু করেন। যার মামলা নং ১২।

গত শনিবার (২৪জুলাই) রাত ২টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী রেখা মনিকে তুলে দিয়ে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিকসহ তিনজনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল। পরে ধর্ষণের অপমানে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করে।

এদিকে মঙ্গলবার (২৭জুলাই) বিকেলে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী রেখা মনির আত্মহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তার বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম ও পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুর রহমান মজুমদারসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম। এ সময় তাঁরা রেখা মনির পরিবারকে সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রতি আশ্বস্ত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম এবং তার দুই সহযোগী উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত আবুল হোসেন বাদশার ছেলে আলমগীর ও একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে রবি আলম।

নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার দিন আমরা বাড়িতে ছিলাম না। সেই সুবাদে আবুল কাশেম ও তাঁর দুই সহযোগী আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে রেখা মনিকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তাঁদের ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেচে নিতে বাধ্য হয়। যাদের নির্যাতনে আমার মেয়ে এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী রেখা মনির আত্মহত্যার ঘটনায় পিতা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। এখনো পর্যন্ত কোন আসামি ধরা পড়েনি। তবে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।আমরা আশাবাদী খুব দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.