যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন উখিয়ার নুর মোহাম্মদ ও কুস্তি ফেডারেশনের লিটন বিশ্বাস

ডিসি সাহেবের বলী খেলার ৬৭ তম আসরে

এম.এ আজিজ রাসেল :
দীর্ঘ ৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে ডিসি সাহেবের বলী খেলার ৬৭ তম আসর। তবে এবার কেউ একক চ্যাম্পিয়ন না হওয়ায় হতাশ হয়েছে দর্শকরা। শনিবার কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় প্রায় ১৮ মিনিট লড়াই করে জয় পরাজয় নিশ্চিত না হওয়ায় বিচারকরা যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের লিটন বিশ্বাস ও উখিয়ার নুর মোহাম্মদ বলীকে।

এর আগে সেমিফাইনালে উখিয়ার নুর মোহাম্মদ বলীর কাছে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়ে সদ্য সমাপ্ত জব্বারের বলী খেলার চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলী। তবে তিনি এই পরাজয় মেনে নেননি বলে দাবি করেন।

২নং মেডেলেও একই ফলাফল হয়েছে। যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহেশখালীর মোহাম্মদ হোসেন ও কুস্তি ফেডারেশনের আনোয়ার।

তবে চ্যাম্পিয়ন খুঁজে পেয়েছে ৩নং মেডেলে। এই ইভেন্টে মহেশখালীর সরওয়ারকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে একই উপজেলার সাহাব উদ্দিন।

এবারের আয়োজনে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের দুই মহিলা বলী। মহিলা ইভেন্টে বাংলাদেশ পুলিশের ফাতেমা বেগমকে পরাস্ত করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে নেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রীতি রায়।

পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে সমাপনী দিনের খেলা উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, জনপ্রিয় এই খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই বলী খেলাকে ধরে রাখতে গ্রহণ করা হবে নানা উদ্যোগ।

দুপুর থেকে ঢোল ও নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন এলাকা থেকে স্টেডিয়ামে আসতে থাকে মানুষ। দর্শকদের তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে জমজমাট হয়ে উঠে বলীখেলা। বলী এবং দর্শকদের মাঝে থাকে টান টান উত্তেজনা। বিকাল গড়ানোর সাথে সাথে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় দর্শক গ্যালারী। মানুষের স্রোত সুদৃঢ় করে ভাতৃত্বের বন্ধন। এবারের বলীখেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ বলী অংশ নিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.