ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ধর্ম নিরপেক্ষতার মহান আদর্শেদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় সারা দেশে বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রণালয় গৃহীত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালার সার্টিফিকে বিতরণকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক এ তথ্য জানান।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অডিটরিয়ামে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে জেলার ১০০ জন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রভাবক ব্যক্তিবর্গ প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-শাহীন জানান, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি নতুন ধরনের প্রকল্প এবং এটি পুরোপুরি একটি প্রচারধর্মী প্রকল্প। এতে আইসিটি এবং মিডিয়ার সর্বোচ্চ সংযোগের মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় একটি মিডিয়া ও একটি আইটি ফার্ম নিয়োগ করা হবে। ফার্ম দু’টি প্রচারের আধুনিক ডিজিটালাইজড কন্টেন্ট ও ম্যাটারিয়াল প্রস্তুত করে তা সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা করবে। প্রচার কৌশলে প্রচার সম্পর্কে জনগনের ফিডব্যাক জানারও ব্যবস্থা থাকবে।

প্রকল্প পরিচালক আর জানান, প্রকল্পের অধীনেদেশের সব জেলাতে একটি প্রশিক্ষন ও একটি কর্মশালা আয়োজন করা হবে। কর্মশালার মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতার বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ, মতামত বা সাজেশন সংগ্রহ করা হবে। প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের প্রভাবক ব্যক্তিদের প্রশিক্ষিত করে তাদের মাধ্যমে তাদের কম্যুনিটিতে সম্প্রীতি ও সচেতনতার বার্তা এবং এ বিষয়ে কম্যুনিটিতে কাজ করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংবলিত এ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। তবে ইতিবাচক ফলাফল বিবেচনায় এর মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে প্রকল্প পরিচালক জানান।

ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক ফাহমিদা বেগম, জেলা তথ্য অফিসার মো. শাহ আব্দুর রহিম নুরন্নবী, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আইসিটি কনসালটেন্ট মো. এনামুল খান, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান সুমন প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.