সাবেক এসপি বাবুল আকতারের চাকরি প্রত্যাহার না স্বেচ্ছায় তা বড় রহস্যবৃত।

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

বিগত ২০১৬সালের ৫ই জুন চট্রগ্রামে নৃশংসভাবে খুন হওয়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের স্ত্রী মিতু হত্যাকন্ড নিয়ে ধুম্রজাল কাটছে না দেশের মানুষের। একের পর এক ভিন্নমতের অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভিক্তিহীন নিউজে দেশের মানুষ ও অতিষ্ট এতে। সুনির্দিষ্টভাবে কোন তথ্যবহুল প্রমান ছাড়া খবর প্রকাশিত করে রহস্য ভিন্ন পথে চালিয়ে নেবার পায়তারা বলেও ধারণা করেন অনেকে। এ বিষয়ে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতি শীঘ্রেই তদন্ত রিপোর্ট ঘোষনা করবেন,বা তদন্তের শেষ প্রান্তে মর্মে বক্তব্য দিলেও এখনো পুরা বিষয়টি অনেকটা অন্ধকারে। তবে বহুল আলোচিত এ হত্যাকান্ড নিয়ে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার বার নিহতের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে রিপোর্ট করে,পরিবেশ ঘোলা করলেও সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান পায়নি বলে জানা যায় তদন্ত টিম,যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরসুত্রে জানা যায়। এ নিয়ে কক্সবাজারসহ চট্রগ্রামের হাজার হাজার বাবুল ভক্ত সাধারণ জনগণের প্রশ্ন,তাহলে কি কারনে এসপি বাবুল চাকরি থেকে প্রত্যাহার হলো? আদৌও কি বাবুল আকতার চাকরি থেকে স্বেচ্চায় প্রত্যাহার হলো? না কোন অদৃশ্য পক্ষ জড়িত তাতে। নাম প্রকাশ না করা ক্রিমিনলোজি বিষয়ে পড়ুয়া চট্রগ্রামের এক শিক্ষার্থী জানান,আমাদের দেশে কোন বিদেশী নাগরিক আহত বা অপমানিত হলে ২৪ঘন্টায় তার আসামী গ্রেফতার হয়,অথচ স্বয়ং পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনে ৯মাসেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ হয়না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ নিয়ে দেশের জনগনের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে দাবি করেন যেসব নিউজ পোর্টাল অতি উৎসাহী হয়ে এসপি বাবুল জড়িত মর্মে খবর প্রকাশিত করেছে তাদের ও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান।কেননা তাদের কারনে অনেকটা তদন্তে বাধা পেয়েছে বলে মনে করেন চট্রগ্রামের জনগণ। চট্রগ্রামের এক ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রতা মোঃ শাহাজান বলেন,আসমান থেকে কোন তদন্ত দল এসে বিষয়টি পরিস্কার করবেনা,দেশের প্রশাসনকেই সত্য উৎঘাটন করে দেখাতে হবে কোনটা সত্য আর বানোয়াট। কেনোনা পুলিশের প্রতি না হয় জনগণের আস্থা কমে যাবে । পুলিশের বউ পুলিশের কাছে নিরাপদ না হলে কোথায় নিরাপদ এমন প্রশ্ওন অনেকের। যদি বাবুল জড়িত না হন তবে চাকরিতে পদায়িত করার ও দাবি জানান অনেকে । অপরাধীদের আতংক এক সময়ের সফল পুলিশ কর্মকর্তা এসপি বাবুলের এমন পরণতি মানতে নারাজ স্বয়ং পুলিশের অনেক কর্মকর্তা। এমনকি অনেকে এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.