রাখাইনে বেআইনি হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ অগ্নি সংযোগ চলছে: অ্যামনেস্টি
ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটিতে বেআইনি হত্যাকাণ্ড, বহু ধর্ষণ, পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেবার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
রোহিঙ্গা বিরোধী এক অভিযানের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সেনারা এ ধরনের কাজ করছে অ্যামিনেস্টির মত। সংস্থাটির ভাষ্যে, এসকল কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণ এবং ভিডিও ও ফটোর ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে অ্যামনেস্টি।
সংস্থাটির দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিষয়ক পরিচালক রাফেন্দি ডিজামিন বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বেসামরিক রোহিঙ্গাদেরকে অনুভূতিহীন ও নিয়মতান্ত্রিক সহিংসতার লক্ষ্যে পরিণত করেছে। একটি সমন্বিত শাস্তির অংশ হিসেবে সেখানে পুরুষ, মহিলা, শিশু, পুরো পরিবার, পুরো গ্রামের ওপর হামলা হয়েছে এবং নির্যাতন করা হয়েছে। এই ইস্যুতে অং সাং সুচি তার রাজনৈতিক এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ভাষায়, তারা রাখাইন রাজ্যে `বাঙালি` দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, যারা গত ৯ই অক্টোবর পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই সেনা অভিযানে ৮০ জনের মতো মানুষ নিহত হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে।
সেনাবাহিনী নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করেছে বলেও অ্যামনেস্টি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। সেনা সদস্যদের হাতে ধর্ষণের শিকার হবার অভিযোগ করছেন, এমন কয়েকজন মহিলার সাক্ষাৎকারও নিয়েছে বলে জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি।
এছাড়া রয়েছে নির্বিচার গ্রেপ্তারের অভিযোগ। আটকের পর কারাগারগুলোতে তারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এমন নজিরও পাওয়া যাচ্ছে।
আটক থাকা অবস্থায় অন্তত ছয় জন বন্দী নিহত হবার খবর মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমই স্বীকার করেছে।
আটক করবার সময়েও রোহিঙ্গাদেরকে নির্দয়ভাবে পেটানো হয় বলে উল্লেখ করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। খবর: বিবিসি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.