মেধায় বিশ্বজয় করতে হবে সার্টিফিকেটে নয় বীর বাহাদুর এমপি

মোঃ নোমান, রামু

নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম ডিগ্রী কলেজের ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ঝমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারী কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন- দেখতে দেখতে হাজী এম এ কালাম ডিগ্রী কলেজ ২০ বছর পেরিয়ে গেল। আগামীতে এ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, অনার্স, মাষ্টার্স হবে।

এতদূর আসার পেছনে যিনি প্রথমে এগিয়ে এসেছেন হাজী এম এ কালাম, যেসব শিক্ষক শ্রম দিয়েছেন তাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরো বলেন- মেধায় মেধায় যুদ্ধ করতে হবে এ কলেজের শিক্ষার্থীদের। শুধুমাত্র এ প্লাস সার্টিফিকেট নিয়ে সেখানে টিকতে পারবো না। চলে যাওয়া সময় ফিরে আসবেনা। শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক এ তিনে মিলে যদি সঠিক পথে আগাই তাহলে আমাদের ছেলে মেয়ে মানুষ হবে। বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা তাঁর বক্তব্যে বলেন- ২০০০সনের পূর্ব থেকে হাজী এম এ কালাম কেলেজের সাথে আমি জড়িত। সে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যখন পেরেছি উন্নয়নে সহযোগিতা করেছি। এ প্রাণপ্রিয় কলেজ থেকে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে সারাদেশে। আগামীতে কলেজের আরো বেশি সফলতা বয়ে আনার জন্য অভিভাবক, শিক্ষকদের নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবারা-রামু ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণি, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ কবির, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবীদ হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইকবাল, উপজেলা আওয়ামীলীগ আহ্বায়ক ক্যউচিং চাক, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের কোম্পানী, অধ্যাপক মো: শফি উল্লাহ, তসলিম ইকবাল চৌধুরী, সদস্য সচিব মো: ইমরান মেম্বার, কলেজের উপাধক্ষ্য বশিরুল আলম,অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক শাহ আলম, মোজাহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল। সভাপতির বক্তব্যে কলেজ অধ্যাক্ষ ও.আ. রফিকুল ইসলাম বলেন- পশ্চাদপদ এ জনপদে যখন শিক্ষার আলো নিভে যাচ্ছিল। উচ্চ শিক্ষার যখন কোন ব্যবস্থা ছিলনা ঠিক সেই মুহুর্তে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তাঁর সহযাত্রীদের মাধ্যমে কলেজ স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। রক্তের কোন আত্মীয় সম্পর্ক না থাকার পরও কলেজ স্থাপনের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন হাজী এম এ কালাম। সেই থেকে শুরু হয় কলেজের পথচলা। কলেজ উন্নয়নে দায়িত্ব নেন বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। যার কারণে আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরিপূর্ণতা লাভ করে হাজী এম এ কালাম কলেজ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.