মহান মে দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  বঞ্চনা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিশ্বের শ্রমিকেরা প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস তথা মে দিবস পালন করেন। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ মুজিববর্ষে গড়বো দেশ’। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে পহেলা মে’কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মে দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।

করোনা মহামারির কারণে এ বছর জনসমাগম সংশ্লিষ্ট সকল বহিরাঙ্গন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া পৃথক পৃথক বানী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংঘটনের নেতারা।

এদিকে মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় চলমান সংকটে কর্মহীন, খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের সকল বিত্তবান ও স্বচ্ছল মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.