বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
উভয় দেশের দুর্নীতি দমন সংস্থাগুলোর মধ্যে সরাসরি সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হবে
ওয়ান নিউজঃ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী সমঝোতা স্মারক সই এর মাধ্যমে উভয় দেশের দুর্নীতি দমন সংস্থাগুলোর মধ্যে সরাসরি সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হবে, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় আরও সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন কমিশন (এনএসিসি) দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
আজ (৪ এপ্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন ও এনএসিসি প্রেসিডেন্ট সুচার্ত ত্রাকুলকাসেমসুক এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
স্মারক স্বাক্ষরের পর দুদক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেন, এ চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক দুর্নীতিবাজ প্রতিবেশী কিছু দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা সহজ হবে।’
জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদের আলোকে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে, যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় অংশীদারত্ব গঠনের কথা বলা হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায়, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুর্নীতি প্রতিরোধসংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে অভিজ্ঞতা বিনিময়, যৌথ প্রকল্প গ্রহণ, গবেষণা পরিচালনা এবং বিভিন্ন সমন্বিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।
এর ফলে উভয় দেশের দুর্নীতি দমন সংস্থাগুলোর মধ্যে সরাসরি সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হবে, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় আরও সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.