নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে সুগন্ধা পয়েন্টে ব্যবসায়ীরা।
সেইসঙ্গে অনেক দোকানের সাইনবোর্ডসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নিজ দায়িত্বে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে তারা।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এ সময় ব্যবসায়ীদের বাধা, প্রতিবাদের মুখে পিছু হটে অভিযানকারীরা।
করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর ধারদেনা করে অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকানের মালামাল এনেছে। অনেকে দোকানও গুছাতে পারে নি। ঠিক এমন সময়ে উচ্ছেদ করা হলে মালামালগুলো নষ্ট হবে। বিকল্প কর্মসংস্থান না করলে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হবে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
উর্ধ্বতন প্রশাসনকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে শুক্রবার সকালের মধ্যে দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ীদের।
এদিকে সুগন্ধা পয়েন্টের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে গৃহহারা মানুষদের জন্য গৃহ তৈরি করে দিচ্ছেন। কর্মহীনদের জন্য বিকল্প কর্ম সৃষ্টি করছেন। প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের স্থান করে দিয়ে ‘মানবতার মা’ স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
এমতাবস্থায় পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করেছে সুগন্ধা পয়েন্টে ব্যবসায়ীরা।
গত ১ অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২ জনের স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের দেওয়া রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।
এ রায়ের পর উচ্ছেদ অভিযানে নামে প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল সুগন্ধা পয়েন্টে নির্মিত দোকানগুলো উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
পরে জসিম উদ্দিনসহ ৫২ জন একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেয়।
একই বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিভিউ মামলা করেছে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। যা আদালতে চলমান বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:১৯
আগের খবর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.