আবদুর রশিদ নাইক্ষ্যংছড়ি
পার্বত্য আইন অমান্য করে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার উত্তর সীমানার খুটাখালী ছড়ায় প্রশাসনের জব্দ করা ৫ লক্ষাধিক টাকার বালু ছিনিয়ে নিচ্ছে চিহ্নিত বালু দস্যূরা। সাথে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একাধিক মেশিন বসিয়ে নতুন ভাবে বালু উত্তোলণও করছে তারা। আর প্রশাসন বলেছেন শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুশুক্কর ও মো ইউনুছ জানান, এ সব অপকর্মের হোতা ২ খুন সহ ৪ মামলার আসামী পুতুইয়্যা ও দূর্ধষ বালুদস্যু আজিজের নেতৃৃত্বে খুটাখালী ছড়া থেকে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালু উত্তোলণ করে আসছিল। এরই মধ্যে একদল সাংবাদিক সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রশাসনকে অবহিত করলে গত ২৯ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন সে স্পটে ঝটিকা অভিযান চালান।
এ সময় ৩টি বালু উত্তোলন মেশিন ধ্বংস করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বালু জব্দ করে স্থানীয় বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং মেম্বার আনোয়ার হোসেনকে জিম্মায় দেন প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো আশরাফুল হক। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির এসিল্যান্ড প্রতিবেদককে বলেন, সেই বালুর স্পটটি নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার।
তবে খালের নাম খুটাখালী ছড়া। বালু দস্যূরা দূধর্ষ। তিনি তাদের সব মেশিন ধ্বংস করে বালু গুলো মেম্বারের কাছে জিম্মা দেন। আর অতি নিকটে থাকা নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন কাগজিখোলা পুলিশ ফাঁড়ি কে তা দেখার নির্দেশও দেন তিনি এ সময় ।
নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার যথাক্রমে সাদিয়া আফরিন কচি ও মো: রেজা রশীদ এ প্রতিবেদককে জানান ,বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে তার ব্যবস্থা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: আলম কোম্পানী বলেন,তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাগজি খোলা ও লামা উপজেলার ফাসিঁয়াখালী ইউনিয়নের লাইল্লামার পাড়ার মাঝ খানে দু’উপজেলার সীমানায় খুটাখালীর ছড়া। ঐ ছড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্বে বালুদস্যুরা ডজনাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিন-রাত প্রকাশ্যে অবাধে বালু উত্তোলন করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও পরিবেশ নষ্ট করছে। আর এ খালে বড় বাঁধ(গোদা)তৈরী করে সীমা রেখা তথা দু’উপজেলার মানচিত্র পাল্টে দেওয়ার পায়ঁতারা করছে। তারা প্রশাসনকে তোয়াক্কা করছে না।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.