ঝিনাইদহে চাচার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগে ভাতিজার সাংবাদিক সম্মেলন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী গ্রামে চাচা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে ঝিনাইহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভাতিজা হারুন অর রশিদ।

 

সাংবাদিক সম্মেলনে ছোট ভাই আবু তালেব মহিউদ্দীন ও কংশি গ্রামের আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে হারুন অর রশিদ দাবী করেন, পোড়াহাটী গ্রামে সিএস ৩৬৩ নং খতিয়ানের ৬৩ শতক জমি ব্রজচরণ নাথ জীবিত অবস্থায় তার স্ত্রী সরোজিনী দেবিকে দিয়ে যান।

 

সরোজিনী দেবির চার কন্যা হরিদাসি, কালিদাসি, গুরুদাসি ও মধুমালা ছিলেন। এর মধ্যে সরোজিনী দেবি ১৯৬৯ সালের ৬ জুন ৬৬৫৫ নং দলিল মুলে সাড়ে ৫২ শতক জমি কনিষ্ঠ কন্যা মধুমালাকে দানপত্র করে দেন।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নেরে জবাবে জানানো হয়, মধুমালা দাসির মৃত্যু হলে তার একমাত্র কন্যা গীতা রানী ও স্বামী কুমারেশ চন্দ্রের কাছ থেকে ১৯৭৬ সালের ৬ অক্টোবর ৯২৮৫ নং দলিল মুলে কিনে নেন সিরাজুল ইসলাম। একই দিন ৯২৮৬ নং দলিল মুলে গীতা রানী ও স্বামী কুমারেশ সালেহা খাতুন ও জিন্নাতুন নেছাকে দলিল করে দেন।

 

এ ঘটনার সাত বছর পর ১৯৭৬ সালের ২৮ মে নজরুল ইসলাম জাল দলিল তৈরী করে ৬৩ শতকের মধ্যে সাড়ে ৩১ শতক জমি লিখে নেন। জমির মালিক সাজানো হয় মধুমালার বড় তিন বোন হরিদাসি, কালিদাসি ও গুরুদাসিকে। কিন্তু এদের মা সরোজিনী আগেই তার ছোট মেয়েকে দানপত্র করে যান। ফলে বাকী তিন বোনের জমির সত্ববান হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

 

বিষয়টি নিয়ে নিাইদহ সদর থানায় উভয় পক্ষকে কাগজপত্র দিয়ে হাজির থাকার জন্য থানার ওসি নির্দেশ দেন। কিন্তু নজরুল ইসলাম কোন সময় সালিশ বৈঠকে হাজির থাকেন নি। তিনি আদালতের মামলাও কোন জবাব না দিয়ে একের পর এক সময় প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।

 

সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, নজরুল ইসলাম আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পোড়াহাটি পেট্রোল পাম্পের পাশে নালিশী জমিতে জোর করে ঘরবাড়ি তুলে জবর দখল করেছেন। এ ছাড়াও চাচা নজরুল ইসলাম আমার বাবা মৃত সিরাজুল ইসলামের জমি অন্য লোককে বাদী সাজিয়ে নাম পত্তন কেস দাখিল করেন।

 

আমরা বিষটি জানতে পেরে মিউটেশন কেস ৫৩৩৮/৯-১০-১৫/১৬ এর বিরুদ্ধে আবেদন করলে নজরুল ইসলামের কেস খারিজ হয়ে যায়। আদর্শপাড়ায় জামে মসজিদের জমি ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে রেকর্ড করে বাড়ি ঘর তৈরী করেন নজরুল ইসলাম।

 

পরে মসজদি কমিটির সভাপতি ফজলুল হক ও মহল্লাবাসি জমি উদ্ধারে আদালতে মামলা করেন যার নং ৩৫৩/১৫। ভাতিজা হারুন অর রশিদ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনের কাছে ন্যায্য বিচার দাবী করেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.