চট্রগ্রামে স্বাধীনতা মেলায় “বাংলাদেশের বদলে যাওয়া দেখে বিদেশীরা হতবাক-এমএ গণি
বিশেষ প্রতিবেদকঃ চট্রগ্রাম ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি ময়দানে ১০দিন ব্যাপী শুরু হয়েছে স্বাধীনতা মেলা। আজ ২১শে মার্চ রোজ বুধবার বিকাল ৪টায় হাজার হাজার মহিলা আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক ও দর্শণার্থীর সমাগমে উৎসব মুখর পরিবেশে উদ্বোধন হল স্বাধীনতা মেলা। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বঙ্গবন্ধুর সহচর, ৩৯ বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফরসঙ্গী, বিদেশে আওয়ামীলীগেরর প্রচারক, সর্ব ইউরোপিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ গণি। মেলায় বেগম ওয়াসিয়া আয়েশা খানম এমপির সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্ম্পাদক মহিলা সাংসদ বেগম ফজিলুৎন্নেছা ইন্ধিরা এমপি। আরো বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রী বেগম হাসিনা মহি উদ্দিন। চট্রগ্রাম মহানগর ও উত্তর দক্ষিণ জেলার মহিলা আওয়ামীলীগ এ মেলার আয়োজন করেন। মেলার আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা যায়, ২২শে মার্চ হতে ৩১শে মার্চ, ১০দিন মাসব্যাপী স্বাধীনতা মেলা চলবে । মেলায় রয়েছে নারী পুরুষের হরেক রকমের পোশাক সামগ্রী, কসমেটিক সামগ্রী, শিশুদের খেলনা, বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ফলদ বৃক্ষ, বই, খাদ্য, আসবাবপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্টল। মেলার মঞ্চে প্রতিদিন বিকালে অগ্নিঝরা মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন, রচনা, আবৃতি, বক্তৃতা, কুইজ, সংগীত প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে পর্যায়ক্রমে। এছাড়া আজ মেলায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যারও আয়োজন করা হয়। মেলায় তরুনদের জন্য প্রধান আকর্ষণ মার্চের চিত্রাংকনে ১৯৭১ এর অগ্নিঝরা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ। এবারের স্বাধীনতা মেলায় লালদীঘিতে শিশুদের জন্য নাগরদোলার ব্যবস্থা সহ ভিন্ন আমেজের বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী রয়েছে। প্রধান অতিথি বেগম ফজিলুৎন্নেছা ইন্দ্রিরা এমপি জানান,১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর হতে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের। এই লালদীঘি মাঠ হতে প্রয়াত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ৬দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন । যার একটি দফা হলো স্বাধীনতা অর্জন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আগামীতে ২৫শে মার্চ কালো রাতটি গণহত্যা দিবস হিসাবে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পাবে। মেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সর্ব ইউরোপিয়ন আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক এমএ গণি জানান, বাংলাদেশের বদলে যাওয়া দেখে বিদেশীরা আজ হতবাক। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে বিশ্বের বড় রাষ্ট্র রাশিয়া আজ ২% কমিশনে বিনিয়োগ করে। বাংলাদেশ আজ ভিক্ষুকের দেশ নয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান এক নতুন রাষ্ট্র। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বদলে যাচ্ছে শহর গ্রাম আর নগর। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ আঃলীগের নতুন কমিটি রয়েছে।ধীরে ধীরে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের মাটিতে ও আওয়ামীলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রার্থীদের বিজয়ী করে শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে উক্ত স্বাধীনতা মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন,দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগ নেত্রী বেগম চেমন আরা তৈয়ব সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ,সর্ব ইউরোপিয়ন আওয়ামীলীগের সাঃসম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এমএ গণি,চট্রগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির অতিরিক্ত এপিপি এডঃ শাহেদা আকতার,আন্জুমান আরা আনজু চট্রগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা লীগ,এডঃ কামরুন্নাহার বেগম সিনিয়র সহ সভানেত্রী দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগ,মেলার অন্যতম সংঘটকক ইদ্রিস খান,এম হাসান মাহমুদ সহ অনেকে। পরে বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠক ও সাংবাদিক ভাইয়েরা লন্ডনে বসবাসরত ইউরোপিয়ন আওয়ামীলীগের সাঃসম্পাদক এমএ গণির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.