ইয়াতিম অসহায়দের প্রতি মানুষের কর্তব্য
ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ ইসলাম সব মানুষের সাথে সদাচরণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় সমাজের সব অসহায় দুঃস্থ, ইয়াতিম ও মজুলম মানুষের প্রতি সদয় হওয়ার তথা যথাযথ দায়িত্ব কর্তব্য পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি এমন লোককে দেখেছ, যে দ্বীনকে অস্বীকার করে? সে তো ওই ব্যক্তি যে ইয়াতিমের প্রতি রূঢ় আচরণ করে তাড়িয়ে দেয় আর মিসকিনদের খাবার প্রদানে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে। (সুরা মাউন : আয়াত ১-৩)
ইয়াতিমদের অসহায়দের সম্মান না করার অর্থ হলো তাদের প্রাপ্য হক আদায় না করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহন না করা। তাদের দুঃখে এবং কষ্টে সহযোগিতা না করা।
এ কারণে আল্লাহ তাআলা ইয়াতিম, মিসকিন, দুঃস্থ, অসহায় ও মজলুমদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে কুরআনে আয়াত নাজিল করেন বলেন, ‘কখনো যেন এরূপ না হয় যে, তোমরা ইয়অতিমদের সম্মান করা না; আর মিসকিনদের খাদ্যদানে (অন্যকে) উৎসাহিত কর না। (সুরা ফাজর: আয়াত ১৭-১৮)
যারা দুনিয়ার জীবনে ইয়াতিম, মিসকিন, দুঃস্থ, অসহায় ও বন্দিদের ওপর ইহসান করে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরকালে জান্নাত ও জান্নাতের বহু নিয়ামত প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশেষ করে ইয়াতিম ও মিসকিনদের সহায়তা দান জান্নাতি মানুষের স্বভাব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা দুনিয়ার জীবনে খাদ্যদ্রব্যের প্রতি নিজেদের প্রয়োজন আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, ইয়াতিম ও বন্দিদের আহার প্রদান করে। (সুরা দাহর : আয়াত ৮)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসহায় মানুষকে সাহায্যের বিষয়ে কতটা উদার ছিলেন তা এ হাদিস থেকে বুঝা যায়। তিনি বলেছেন, ‘তুমি তোমার মুমিন ভাইকে সাহায্য কর; চাই সে জালিম হোক আর মজলুম হোক।’
সাহাবায়ে কেরাম বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা কররেন, ‘জালিমকে কিভাবে সাহায্য করবো। বিশ্বনবি বললেন, ‘জালিমকে জুলম থেকে বিরত রাখাই তাকে সাহায্য করা। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.