রেজাউল করিম, পেকুয়া (কক্সবাজার)
কাগজে-কলমে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা হাই স্কুল সড়কটির দূরত্ব মুহুরীপাড়া স্টেশন থেকে বাইন্যাঘোনা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার। মাঝখানের তিন কিলোমিটার সড়ক বিলীন হয়ে মিলিয়ে গেছে লবণ মাঠের সঙ্গে। অবশিষ্ট মুহুরীপাড়া অংশের দেড় কিলোমিটার আর বাইন্যাঘোনা অংশের ৫০০ মিটার সড়ক সংস্কার নেই ২৯ বছর ধরে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়কটিতে সর্বশেষ ইট বিছানো হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এরপর গত ২৯ বছরে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর সড়কটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, খানাখন্দে ভরা সড়কে জমে আছে পানি। পানির নিচে থাকা গর্তগুলোর কোনটি ছোট কোনটি বড় বুঝা দায়। এ যেন সড়ক নয়, চষা মাঠ। কাদা-পানি মাড়িয়ে পথ চলতে হচ্ছে স্থানীয়দের। কাদা-পানি একাকার হওয়া সড়কটিতে একটু ভালোভাবে দেখলেই চোখে পড়বে ভাঙা ইটের ছোট ছোট টুকরো। যা একটা সময় এই সড়কে ইট বিছানো ছিলো তা মনে করিয়ে দেয়। মুহুরীপাড়া সড়কের মাথা হয়ে সামনে এগুতে চোখে পড়ে বড় বড় গর্ত। কোনো বৃদ্ধ ইজিবাইকে চড়ে গন্তব্যে যাওয়ার সাহস করেন না। সড়কটির মগঘোনা এলাকায় বেশিরভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী কক্সবাজার জেলার টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মুহুরীপাড়াবাসীদের দুর্ভোগেই রাখতে জোট সরকারের আমলে এ সড়কের সংস্কার হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও এ অঞ্চল অবহেলিত থাকায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন তাঁরা। মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ উদ্দিন নিশান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছোটকাল থেকে এ সড়কের বেহাল দশা দেখে বড় হয়েছি। বড় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় ঘুরে সংস্কারের আশ্বাস দেন কিন্তু বাস্তবে কেউ কাজ করেনা।
সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ইচ্ছেমতো দখল করে ঘেরা-বেড়া দিয়েছে। এসব স্থানে সড়কের প্রস্থ আট ফুট হয়ে গেছে। সড়ক দখলমুক্ত করে দ্রুত সংস্কার করে সড়কটি চলাচল উপযোগী করার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুহুরীপাড়া সড়কটি নিয়ে বেশ কিছু দিন আগেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
আশা করছি খুব শীগ্রই সড়কটির উন্নয়নকাজ শুরু হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম বলেন, দেড় মাস আগে মুহুরীপাড়া সড়কের এক হাজার ১০০ মিটার সড়কে এইচবিবি (দুই স্তরের ইট বিছানো) দ্বারা উন্নয়নের জন্য অন্তত ৯৬ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। অতিশীঘ্রই এ সড়কের কাজ শুরু হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.