বিশ্বব্যাংক এখন কী বলবে, প্রশ্ন সেতুমন্ত্রীর

ওয়ান নিউজঃ আমি এখন তাকিয়ে আছি, অপেক্ষায় আছি বিশ্বব্যাংক কী বলে। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি শুধু এখন তাকিয়ে আছি, অপেক্ষায় আছি বিশ্বব্যাংক কী বলে। বিশ্বব্যাংকের এখন কী বলার আছে সেটাই শুধু জানতে চাই। এর পর আর কোন ছুতো?

তিনি বলেন, আদালত রায় দিয়েছে, বিশ্বব্যাংক কী বলে আমরা দেখি। বিশ্বব্যাংকের জবাবটা কী? তারা তো (বিশ্বব্যাংক) বলেছে দুর্নীতি করা হয়েছে। কানাডার আদালত বলেছে কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশ্বব্যাংক এখন কী বলবে তার অপেক্ষায়।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যংকের নতুন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসেছিলন। অবশ্য তারা জানতো, ভুল করেছে। তারা স্বীকার করেছে, পদ্মাসেতু থেকে সরে গিয়ে ভুল করেছে। তবে আমাদের এখানে কোনো লস নেই। এটা নিয়ে হৈচৈ করারও কিছু নেই। এজন্য এটা নিয়ে আমরা উল্লাসও করছি না। আমারা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছি সাহস নিয়ে, দৃঢ়তা নিয়ে। আমাদের নেত্রী পদ্মাসেতুর নির্মান কাজ শুরু করেছেন বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে।

আগামী বছর ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হবে জানিয়ে কাদের বলেন, কানাডার আদালতের রায়ের মাধ্যমে আজকে প্রামণ হলো স্বচ্ছতার সঙ্গে সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমি আশ্বস্ত করছি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে আগামী বছরের শেষ মাস বাঙালির বিজয়ের মাসে আমরা পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করবো।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু আজ আমাদের সক্ষমতা, পদ্মা সেতু বাঙালির সম্মান, সম্মানের পতাকা। এই পতাকা উড্ডীন হয়েছে। সারা বিশ্বে আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে। সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া সেই সাহস আর কেউ দেখাতে পারতেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না। বঙ্গন্ধু কন্যা সেটি করে দেখিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল, তার প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এই মামলার তিন আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছেন বলে কানাডিয়ান পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানিয়েছে।

দুর্নীতির এই অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মাসেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল হয়ে যায়। পরে নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.