‘প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে জঙ্গি শব্দ ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী’

ওয়ান নিউজঃ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি শব্দটা ব্যবহার করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত চিফ অফ পুলিশ কনফারেন্সে পুলিশ প্রধান বলেছেন, দেশে জঙ্গি নেই। অন্যদিকে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গি আছে। তাই বোঝা যায়, মূলত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এটা ব্যবহার করেন।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেন, আর র‌্যাব-পুলিশের কথার অমিল বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও সাবমেরিন কেনা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘সাবমেরিন কেনাটা অপরাধের নয়। কিন্তু কেউ প্রশ্ন করলে, তার জবাব না দিয়ে চুপ থাকাটা অপরাধের।’

তিনি বলেন, ‘কেন সাবমেরিন কিনেছে বাংলাদেশ, ভারতের এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দেন। যে আমাদের ওপর যারা হামলা করবে তাদের ওপর ব্যবহার করব। এ কথা বলতে পারছেন না কেন। কারণ প্রভুদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সাহস নেই।’

‘ভারত সফরে গিয়ে কী চুক্তি করতে চাইছেন তা পরিষ্কার নয়’ উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভারতকে সোজা উত্তর দিতে পারেন তো, তিস্তা চুক্তি আগে বাস্তবায়ন করেন। পরেরগুলো পরে দেখা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তিসহ অন্যগুলো করার পরে নতুন চুক্তি জনগণকে জানাতে হবে। কী চুক্তি হবে তা সংসদে আলাপ করতে হবে। কারণ সংসদ থেকে আপনারা বেতন নেন।’

‘অজ্ঞাতভাবে চুক্তি করার অধিকার কারো নেই’ মন্তব্য করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘দুই দেশের সঙ্গে চুক্তি হলে তা জাতীয় ইস্যু। আর সেটা জনগণকে জানাতে হয়। জাতীয় স্বার্থে কোনো আঘাত আসবে কিনা তা নিয়ে জনগণের মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লার সভাপতিত্ব বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.