নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাপিত খালী বিট অফিসের চাপাশে পাকা,আধা পাকা ও কাঁচা ঘর নির্মান অব্যাহত রয়েছে। এসব বাড়ী ওয়ালার কাছে শতাধিক একর বনভূমির দখল বিক্রি হয়েছে গত কয়েক মাসে।অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা গোলাম কবির ও হেড়ম্যান শফি আলম কতিপয় প্রভাবশালী ক্যাডার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে বনভুমি দখলে দিয়েছে। ওই সব বনভূমিতে প্রভাবশালীরা রাতারাতি গড়ে তুলছে বহুতল বসত বাড়ী ও আবাসিক বাণিজ্যিক ভবন।
কক্সবাজারে বনভূমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরোটলারেন্স ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করে বনভূমি দখলের সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন নাপিত খালী বিটের
মাহজন পাড়া এলাকায় প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখল হচ্ছে।কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরু করে পোলট্রি ফার্ম ও নানা স্হাপনা গড়াসহ বনভূমির প্রায় সিংহ ভাগ জায়গায় দখলবাজরা নিয়মিত পাহাড় কেটে পাকা ঘর নির্মাণ ও পাহাড়ি মাটি অবৈধভাবে বিক্রি করছে।
সূত্র জানায়,মাটি বিক্রি সিন্ডিকেট ও দখলবাজ চক্র এখন বনভূমি দখলের মহোৎসব চালাচ্ছে ।দীর্ঘ সময় ধরে নাপিতখালী এলাকায় একটি প্রভাবশালী দখলবাজ চক্র বনভূমি দখল করে তা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে দেদারচ্ছে।বন প্রহরীরা টহলে গিয়ে দখলের এ প্রক্রিয়া দেখেও না দেখার ভান ধরেছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়,বনবিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নাপিত খালী মাহজন পাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম, কালা খন্দকার পাহাড় কেটে বিশাল আকারে বনজমি দখলে নিয়ে সেখানে পাকা ডুপ্লেক্স ভবন নির্মাণের দুঃসাহস দেখিয়েছে।বনজমিতে ঐ ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তারা সরকারি বনভূমির গাছ ও পাহাড় কেটে যথেষ্ট ক্ষতি ডেকে এনেছে বলে স্থনীয়দের অভিযোগ। শুধু ঐ এলাকায় নয় নাপিতখালী বিটের আওতাধীন হাজী পাড়া, গর্জন বাগান, শাহফকিরা বাজারের পশ্চিম পাশে নার্সারী বাগানের সামনেসহ আরো কয়েকটি এলাকায় তাদের এমন ধ্বংসযঙ্গ চলছে বনজমি দখলে।
বনজমিতে ভবন নির্মাণে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বন বিভাগের বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বাড়ি নিমার্ণ করছি। এতে আপনাদের কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
এবিষয়ে নাপিত খালী বিট অফিসার গোলাম কবির থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয় টা দেখা হচ্ছে।
ফুলছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জকর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম জানান,ভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে এবং উক্ত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.