চকরিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে কিশোরীর বাল্য বিয়ে বন্ধ
এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের হস্তক্ষেপে ইছমত আরা বেগম(১৫)নামের এক কিশোরীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।এর আগে মেয়ের পরিবারের লোকজন বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন এক সন্তানের কথিত জনকের সাথে।বিয়ে নিয়ে দু’পরিবারের লোকজন সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে ফেলে বর ও কনেপক্ষ।রবিবার (১৮মার্চ) বেলা ২টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নস্থ সাবান ঘাটা এলাকায় প্রশাসন এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়,উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের সাবান ঘাটা এলাকায় আব্দুল কাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা ইছমত আরা বেগম(১৫) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী একই এলাকার এক সন্তানের জনকের সাথে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়।স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পরপরই তাৎক্ষনিক ভাবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে অবহিত করে।জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সংবাদটি চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে বিয়েটা বন্ধের ব্যাপারে তাৎক্ষনিক ভাবে উদ্যোগ নেন।রবিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিবলী নোমানের নির্দেশে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)খোন্দকার মোঃ ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত থানার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কনের বাড়িতে পৌছে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী ও ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার রতন কান্তি এ প্রতিবেদককে জানান,রবিবার উপজেলার হারবাংয়ে বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান চলার সংবাদ পাওয়া মাত্রই উপজেলা প্রশাসন দ্রুত হারবাং সাবান ঘাটা এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌছে।এতে দেখতে পাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ইছমত আরা বেগম নামের এক কন্যা শিশুর বিয়ের অনুষ্টান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়।এসময় বিয়ে অনুষ্টানে উপস্থিত লোকজনসহ মেয়ের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাল্য বিয়ের নানা কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়।বাল্য বিয়ের নানা কুফল জানতে পেরে মেয়ের বাবাসহ পরিবার সদস্যরাই তাদের নিজ উদ্যোগ নিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেয় বলে তিনি জানান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.