রামুতে পানিবন্দী লাখো মানুষ, ইউএনওর পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ

কফিল উদ্দিন রামু:

একটানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত। লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার নিম্ন এলাকা তলি গেছে।

ডুবে আছে উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের গ্রামীণ যাতায়াতের পথ। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এখানকার হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ওই এলাকার নিন্মাঞ্চল কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতার পাড়া, দৌছড়ি, জামছড়ি, মৌলভির কাটা, শুকমুনিয়াসহ গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জুমছড়ি, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশের গ্রামের বসত বাড়িতে পানি উঠেছে। তাছাড়া উপজেলার কাউয়ারখোপ, ফতেখাঁরকুল, রাজারকুল, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল এলাকা বন্যায় পানিতে ডুবে গিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৬ জুলাই সোমবার থেকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার তিতার পাড়া, গর্জনিয়া বাজার, শুকমুনিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম, পুর্ব বুমাংখিল, গর্জনিয়া বাজার হতে চাকমার কাটা গুরুর বাজার পর্যন্ত সড়কসহ কয়েককটি গ্রামে পানি উঠে যাতায়ত করতে পারছেনা জনসাধারণ। এদিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের গাছুয়া পাড়া,বইলতলী,মনিরঝিল, মধ্যমপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকা বন্যায় প্লাবিত, অপরদিকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নোনাছড়ি,গর্জনিয়া পাড়া,ইলিশিয়াপাড়া সহ বেশ কিছু গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল নোমান জানান, হঠাৎ করে প্রবল বর্ষনে বন্যার ফলে কচ্ছপিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বানের পানি উটেছে। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে, তিনি এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সহ সংশ্রিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

প্রবল বন্যার খবর পেয়ে,তাৎক্ষানিক রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমা বন্যা কবলিত এলাকায় ঘুরে ঘুরে শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রনয় চাকমা জানান,বন্যায় উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসন রামুর পক্ষ থেকে তাদের মাইকিং করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনার জন্য সহ সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি, এবং তাদের মাঝে ত্রান বিতরণ অব্যাহত রাখছি, এবং শুকনো খাবার বিতরণসহ চাল ডাল সহ নানান প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মজুদ করে রেখেছি।

এদিকে রামুর পার্শবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়িতে ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার বাইশারী, ঘুমধুম,সদর ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে অনেকের ঘর বাড়ি। পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে এক কিশোরসহ ২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.